আজকের যায়যায়দিন

প্রশাসনের লোক পরিচয়ে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর দুই মাস ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না আবদুলস্নাহ ইবনে ইউনূস নামের এক ছাত্রকে।র্ যাব-পুলিশ কেউ তার সন্ধান দিতে পারছে না।

আবদুলস্নাহ ইবনে ইউনূস মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের ছাত্র। বাবা-মা থাকেন নরসিংদীতে। ঢাকায় মোহাম্মদপুরের কাঁটাসুর এলাকার ঢাকা রিয়েল এস্টেট এলাকায় তিনি তার বড় ভাই আবদুর রহমানের সঙ্গে থাকতেন।

পরিবারের ধারণা, আবদুলস্নাহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিংবা কোনো গোয়েন্দা সংস্থার জিম্মায় রয়েছেন। অপহরণকারী বা সন্ত্রাসীগোষ্ঠী তুলে নিয়ে গেলে এতদিনে তারা মুক্তিপণ চাইত বা অন্য কোনোভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করত। এখন পর্যন্ত কেউ আবদুলস্নাহর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।

আবদুলস্নাহ ইবনে ইউনূসের বড় ভাই আবদুর রহমান বলেন, গত ২২ জুলাই রাতে সাদা পোশাকে তিনজন তাদের মোহাম্মদপুরের বাসায় আসেন। তারা নিজেদের প্রশাসনের লোক বলে পরিচয় দেন। তবে কোন প্রশাসন, তা তারা খোলাসা করে বলেননি। আবদুলস্নাহ ইবনে ইউনূসকে ঘরের এক কোনায় নিয়ে গিয়ে তারা দুটি ছবি দেখান। জানতে চান, তাদের মধ্যে কাউকে তিনি চেনেন কিনা। আবদুলস্নাহ একজনকে চিনতে পেরেছিলেন বলে তাদের মনে হয়েছে।

নৌ ও রেলপথে চাপ বাড়লেও সড়কে নেই যানজট / নির্বিঘ্নে ফিরছেন কর্মজীবী মানুষ

তখন তিনিও (আবদুর রহমান) ছবিগুলো দেখতে চান। তবে প্রশাসনের পরিচয় দেওয়া লোকজন তাকে আর ছবিগুলো দেখাননি। কিছুক্ষণ পর তারা আবদুলস্নাহ ইবনে ইউনূসকে সঙ্গে নিয়ে চলে যান। আবদুলস্নাহর ল্যাপটপ বা কম্পিউটার নেই। তবে মুঠোফোন আছে। মুঠোফোনটি তারা নিয়ে যান।

ওই দলে ৮-১০ জন ছিলেন। তারা এসেছিলেন সাদা মাইক্রোবাসে করে। পরদিন সকালে আবদুর রহমান থানায় যান। সেখান থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) ও র?্যাবে যোগাযোগ করেন। কেউই তার সন্ধান দিতে পারেনি। তবে পুলিশের একটি দল ২৩ জুলাই তাদের বাসার আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করতে এসেছিল। পরে জানায়, ক্যামেরাগুলো নষ্ট ছিল।

মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক প্রদীপ কুমার সাধারণ ডায়েরিটির তদন্ত করেছেন। তিনি বলেন, তারা আবদুলস্নাহকে খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়েছেন। কিছুদিন আগে তিনি নিখোঁজ জিডিটি ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

আবদুর রহমান বলেছিলেন, 'আবদুলস্নাহ আছে কিনা, তাও বলে না, নেই তাও বলে না। অপরাধ থাকলে অন্তত জানান।'