গুলশানের রেস্তোরাঁয় মদ-বিয়ারের ডিপো

প্রকাশ | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বাইরে থেকে দেখলে যে কেউই মনে করবে ফাস্টফুডের দোকান। ভেতরে সাজানো গোছানো টেবিল। খাবার মেনু পড়ে রয়েছে সব টেবিলেই। কিন্তু দামি খাবারের আড়ালে সেখানে দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছিল মদ-বিয়ারের জমজমাট আসর। তাদের এমন অপকর্ম বেরিয়ে এসেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে। বুধবার গভীর রাতে গুলশান-১ এর সিটি স্কাইভ ভবনের নিচ তলার হর্স অ্যান্ড হর্স নামের ওই খাবারের দোকান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২০৩ বোতল বিদেশি মদ ও ৮১০ ক্যান বিয়ার ও সিসা। এ সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুজনকে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গুলশান জোনের ইন্সপেক্টর শামসুল আলম যায়যায়দিনকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাতে ওই ফাস্টফুডের দোকানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখান থেকে রেস্তোরাঁটি থেকে ২০৩ বোতল বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিদেশি মদ, ৮১০ ক্যান বিয়ার, ২ কেজি নিষিদ্ধ সিসা ও ৩টি হুক্কা জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপক মনির হোসেন ও ক্যাশিয়ার সরোয়ার আলমকে। এ ঘটনায় পলাতক রয়েছে মেহেরীন সারা মনসুর নামের এক তরুণী। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই তারা গোপনে ব্যবসা করে আসছিল এমন তথ্য আগে থেকেই ছিল। এরপর গোয়েন্দা নজরদারির পর সেখানে বিপুল পরিমাণ মদ-বিয়ারের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু অভিযান প্রস্তুতির সময় প্রচন্ড বৃষ্টি হওয়ায় ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হয়। এ কারণে মামলার পলাতক ওই তরুণীকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। প্রাথমিক তদন্তে কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই তারা বিদেশি মদ, সিসা ও বিয়ার বিক্রি করে আসছিল। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গুলশান থানায় মামলা করা হয়েছে।