বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলে দাঁতভাঙা জবাব :কাদের

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০
ওবায়দুল কাদের

গণবিরোধী ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এর দাঁতভাঙা জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, করোনা মহামারির এ সময় বিএনপি-জামায়াত জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে অবৈধপথে, চোরা গলি দিয়ে ক্ষমতায় আসার জন্য ষড়যন্ত্রের অলিগলি খুঁজে বেড়াচ্ছে। দুঃস্বপ্নে তারা বিভোর হয়ে আছে। শুক্রবার দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলী, ঢাকা মহানগর এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী। ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এসময় সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ডক্টর আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল-আলম হানিফ ও ডা. দীপু মণিসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের গভীর ষড়যন্ত্রের তথ্য উদঘাটন করেছে গোয়েন্দা সংস্থা। যা ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে পৃষ্ঠা ১১ কলাম ১ প্রকাশিত হয়েছে। বিএনপি-জামাত জোট কখনওই জনগণের ইচ্ছার প্রতিনিধিত্ব করতে চায় না। সর্বদাই তাদের ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। আস্থা, স্বাধীনতাবিরোধী ও দেশবিরোধী অপশক্তির রাজনীতি। আওয়ামী লীগ এ দেশের মানুষের আবেগ ভালোবাসা আশা-আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে। কাজে-কর্মে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটায়। আওয়ামী লীগ কখনও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে না। কিন্তু বারে বারে আওয়ামী লীগই ষড়যন্ত্রের শিকার হয়। ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বরদাশত করে না। দলের দুঃসময়ের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, হঠাৎ করে কেউ দলে এলে তাকে প্রথমেই নেতা বানানো যাবে না। সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে কোনও অবস্থাতেই অনুপ্রবেশের সুযোগ দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে সীমিত পর্যায়ে সাংগঠনিক কর্মকান্ড শুরু করেছে। জাতীয় সম্মেলনের আগে-পরে ৩১টি সাংগঠনিক জেলার সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। করোনা সংক্রমণের বাস্তব কারণে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তবে অধিকাংশ পূর্ণাঙ্গ কমিটি কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা পড়েছে। দলীয় নেতাদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, একটা বিষয় পরিষ্কার করে বলতে চাই, কমিটি গঠনের বিষয়ে দলের প্রেসিডিয়াম সভায় নেত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। তা মেনেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে হবে। দলের দুঃসময়ের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করতে হবে। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে মানবিক কারণে মুক্তি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি-জামাত জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে দন্ডপ্রাপ্ত একজন আসামি। করোনা সংক্রমণকালে প্রধানমন্ত্রী সর্বোচ্চ মানবিকতা ও উদারতার পরিচয় দিয়ে তাকে জামিনে মুক্তির ব্যবস্থা করেন। এই মানবিকতা বা উদারতাকে বিএনপি দুর্বলতা মনে করলে ভুল করবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে