অ্যানেস্থেসিওলজিস্টদের ই-সম্মেলন

চিকিৎসকের কাজ মানবতার সেবা করা :প্রধানমন্ত্রী

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সৌভাগ্য দেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃতু্যহার দুটোই কম। আগামী দিনগুলোতেও আমরা এই মহামারির বিস্তার রোধ করতে সক্ষম হব।

প্রকাশ | ১৮ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার দি ফার্স্ট ইন্টারন্যাশনাল ই-কনফারেন্স অন ক্রিটিক্যাল কেয়ার ২০২০-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন -ফোকাস বাংলা
মানবতার সেবাই একজন চিকিৎসকের প্রথম ও প্রধান কাজ উলেস্নখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেকোনো পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের দায়িত্বের প্রতি নিবেদিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসা একটি মহান পেশা। একজন অসুস্থ মানুষের সেবা করে একজন চিকিৎসক মূলত মানবতার সেবা করেন। সুতরাং যখন চিকিৎসক হবেন আপনার প্রথম ও প্রধান কাজ হবে মানবতার সেবা করা। আশা করি যেকোনো পরিস্থিতিতে আপনারা আপনাদের দায়িত্ব ভুলে যাবেন না। শনিবার বাংলাদেশ সোসাইটি অব অ্যানেস্থেসিওলজিস্টস আয়োজিত 'ক্রিটিকাল কেয়ার-২০২০' শীর্ষক প্রথম আন্তর্জাতিক ই-সম্মেলনে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। করোনা মহামারি মোকাবিলায় দায়িত্ব পালনকালে অ্যানেস্থেসিওলজিস্টসহ উলেস্নখযোগ্য সংখ্যক চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার কথা উলেস্নখ করে প্রধানমন্ত্রী তাদের ত্যাগের কথা স্মরণ করেন এবং তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও স্বজন হারানো পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। ভার্চুয়াল এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার ধারণকৃত বক্তব্যে বলেন, আমাদের প্রচেষ্টা এবং চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের কঠোর পরিশ্রমের কারণে বাংলাদেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা গেছে। আমাদের সৌভাগ্য বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃতু্যহার দুটোই কম। আশা করি আগামী দিনগুলোতে এ মহামারির বিস্তার রোধ করতে আমরা সক্ষম হব। দেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করতে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে উলেস্নখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার। তাই আমরা শয্যা সংখ্যা বাড়িয়ে, চিকিৎসক ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজনসহ চিকিৎসাসেবা সম্প্রসারণ করেছি। গত কয়েক বছরে আমরা দেশে বেশ কয়েকটি নতুন বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপন করেছি। আমাদের শক্তিশালী বেসরকারি সেক্টরও চিকিৎসাসেবা দিতে এগিয়ে এসেছে। গ্রামের মানুষকে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দিতে আমরা প্রায় ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র করেছি। সেখানে ৩০ প্রকার ওষুধ বিনামূল্যে সরবরাহ করছে সরকার। অ্যানেস্থেসিওলজিস্টের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংকটাপন্ন রোগীদের ম্যানেজমেন্টের \হপাশাপাশি অ্যানেস্থেসিওলজিস্টরা অপারেশন থিয়েটারে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। কোভিড-১৯ মহামারিতে আমাদের অ্যানেস্থেসিওলজিস্টসরা আইসিইউতে এবং আইসিইউর বাইরের কোভিড-১৯ রোগী ম্যানেজমেন্টে দুর্দান্ত কাজ করে চলছেন। গুরুতর রোগীদের সেবায় সর্বশেষ জ্ঞান ও প্রযুক্তি দিয়ে নিজেদের প্রস্তুত রাখতে অ্যানেস্থেসিওলজিস্টসদের প্রতি অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে অ্যানেস্থেসিওলজিস্টস সোসাইটি কোভিড আইসিইউ ম্যানেজমেন্টে জাতীয় নির্দেশিকা প্রস্তুত করতে সহায়তা করেছে। তারা সারাদেশে আইসিইউ সেবা কার্যক্রম সম্প্রসারণ এবং করোনা রোগী ম্যানেজমেন্টে আইসিইউ চিকিৎসক ও স্টাফদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে।