দ্রব্যমূল্য উঠানামার পেছনে সিন্ডিকেট কাজ করে :কাদের

প্রকাশ | ২৪ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দ্রব্যমূল্য ওঠানামার পেছনে একটি সিন্ডিকেট সব সময় কাজ করে। তবে সরকার সিন্ডিকেটের কাছে হেরে যাচ্ছে এ কথাটা ঠিক নয় বলে দাবি করেন তিনি। ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে শুক্রবার এক মতবিনিময় সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিবেশী সব দেশের দিকে তাকান, এই করোনা পরিস্থিতিতে বাজারমূল্য, কোথাও আমদানি-রপ্তানি আগের পর্যায়ে নেই এবং এখানে উৎপাদনেরও একটা ব্যাপার আছে। যেমন- পেঁয়াজ যদি আমাদের দেশে ঘাটতি থাকে, সেটা আমরা কাছের দেশ ভারত থেকে আনি। ভারতে কর্নাটক, মহারাষ্ট্রেও পেঁয়াজের উৎপাদন কম নয়। তখন সেখানে একটা সংকট হয়। সে কারণে তারা বন্ধ করে দেয় রপ্তানি। কিন্তু আমাদের সরকারের চেষ্টার ফলে ভারতীয় পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। অন্যান্য জিনিসপত্রের দামও উঠানামা করবে। বর্ষার সময়ে দ্রব্যমূল্য একটু বাড়ে, আবার এগুলো ঠিক হয়ে আসে। আগামী মাস থেকে পুরোদমে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালু হবে উলেস্নখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, সাত মাস ধরেই আমাদের রাজনৈতিক সাংগঠনিক কার্যক্রম ছিল। সারাদেশে বন্যা মোকাবিলা, ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বৈশ্বিক মহামারি করোনা মোকাবিলায় আমাদের নেতাকর্মীরা সারাদেশে সক্রিয় ছিল। আওয়ামী লীগ কোথাও অনুপস্থিত ছিল না। আমাদের সহযোগী সংগঠনগুলো কৃষকদের ধান কেটে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে। এগুলো তো আওয়ামী লীগের কর্মকান্ডের বাইরে নয়। এগুলো দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা করেছি। শুধু করোনাকালে আমাদের কমিটি গঠন প্রক্রিয়াটা বন্ধ ছিল। আমাদের সাংগঠনিক কর্মকান্ড বন্ধ ছিল না। ৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে স্বল্প পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেল হত্যা দিবসের আলোচনা হবে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন। বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা বারবার নির্বাচনে প্রত্যাখাত হয়ে বারবার ব্রিফ্রিং করে আন্দোলনের ডাক দিচ্ছেন। পরীক্ষার পরে আন্দোলন, রোজার ঈদের পরে আন্দোলন, কখনো কোরবানির পরে আন্দোলন। কত রোজা গেল, ঈদ কত গেল, কত পরীক্ষা চলে গেল, এই বছর না ওই বছর, আন্দোলন করে বিএনপি। বেগম জিয়াকে মুক্ত করার জন্য এই বিএনপি ঢাকা মহানগরীতে একটা বড় বিক্ষোভ সমাবেশ করতে পারেনি! শেখ হাসিনা মানবিকতা, উদারতা, বেগম জিয়ার বয়সজনিত বিষয়টি চিন্তা করে তাকে আজকে কারাদন্ডাদেশ স্থগিত করা হয়েছে ছয়মাস হয়ে গেল। এটি বিএনপির আন্দোলনের ফসল নয়, এটা শেখ হাসিনার মানবিকতা এবং উদারতার দৃষ্টান্ত। এসময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপস্নব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুস সবুর, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ ঢাকা মহানগর ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।