নওগাঁর মহাদেবপুরে জমকালো পাঞ্জা লড়াই

প্রকাশ | ২৫ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

ইউসুফ আলী সুমন, মহাদেবপুর (নওগাঁ)
নওগাঁর মহাদেবপুরে শুক্রবার পাঞ্জা লড়ছেন দুই খেলোয়াড় -যাযাদি
গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী খেলা পাঞ্জা লড়াইয়ের জমকালো আয়োজন হয়ে গেল নওগাঁর মহাদেবপুরের পলস্নীতে। আর এ খেলা দেখতে ঢল নামে অগণিত দর্শনার্থীর। তরুণ প্রজন্মকে দেশীয় সুস্থ ধারার খেলায় ফেরাতে এ আয়োজন করেছে আয়োজকরা। কার্তিকের হেমন্ত বিকেলে গ্রামীণ জনপদের মানুষের সময়টা কাটছে কিছুটা অখন্ড অবসরে। আর সেই অবসর সময়কে মাতিয়ে তুলতে শুক্রবার বিকেলে নওগাঁর মহাদেবপুর আলি দেওনা গ্রামে আয়োজন করা হয় আবহমান বাংলার এ খেলা। ওই গ্রামের কৃতী সন্তান ইঞ্জিনিয়ার ফায়সাল থাকেন ঢাকায়। ক্রীড়ানুরাগী ফায়সাল দেশীয় খেলাধুলা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে মানবকল্যাণ সংস্থা নামে একটি সংগঠন গড়েন। এ সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় এ পাঞ্জা লড়াই প্রতিযোগিতার। মাঠের চার পাশের অগণিত দর্শকের দৃষ্টি টেবিলের ওপর কনুই দিয়ে ভর করা দু'হাতের দিকে। মুষ্টিবদ্ধ শক্ত হাতে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জোর চেষ্টা। রেফারি বাঁশি দেওয়ার সঙ্গে প্রতিপক্ষের হাতটি দমিয়ে রাখতে যখন ব্যস্ত খেলোয়াড়, তখন দর্শকরা দিতে থাকে উৎসাহধ্বনি। অনেক দিন পর এমন আয়োজন দেখে আনন্দিত দর্শনার্থীরা। খেলা দেখতে আসা বেশ কয়েকজন জানান, অনেক দিন পর এমন আয়োজন দেখে তারা খুশি। সে সঙ্গে ধন্যবাদ দেন আয়োজকদের। সুস্থ ধারার এমন খেলার আরও বেশি বেশি আয়োজন চান খেলোয়াড়। খেলায় অংশ নেওয়া সুকুমার জানান, এ খেলার মাধ্যমে শরীরে শক্তি অনুভূত হয়। দেশীয় খেলাধুলার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে অপসংস্কৃতি থেকে দূরে রাখতে এ আয়োজন বলছে আয়োজকরা। মানব কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার ফায়সাল জানান, করোনার এ সময় গ্রামের মানুষের মাঝে কিছু বিনোদন দেওয়া। তাছাড়া এ খেলার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি ঘটবে, যা করোনাকালে খুব জরুরি। সংস্থার উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, আমরা এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চেষ্টা করব। খাজুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. বেলাল উদ্দিন বলেন, আমরা চাই দেশীয় খেলাধুলায় সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা। যার মাধ্যমে তরুণদের বিপথগামী পথ থেকে ফেরানো যাবে। স্থানীয় মানব কল্যাণ সংস্থা আয়োজিত খেলায় ১৬ জন পাঞ্জা প্রতিযোগী অংশ নেয়। ফাইনাল খেলায় ফটিককে হারিয়ে সুকুমার বিজয়ী হয়।