রাঙ্গাবালীতে স্পিডবোট ডুবি ৪০ ঘণ্টা পর ৫ জনের লাশ উদ্ধার

প্রকাশ | ২৫ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার আগুনমুখা নদীতে স্পিডবোট ডুবিতে নিখোঁজ পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ৪০ ঘণ্টা পর শনিবার সকালে এ মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন, রাঙ্গাবালী থানার কনস্টেবল মহিব্বুল হক (৪৫)। তিনি বাকেরগঞ্জের জিরাইল গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। কৃষি ব্যাংক রাঙ্গাবালীর বাহেরচর শাখার পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান (৩৫)। তিনি পটুয়াখালীর আউলিয়াপুরের আব্দুস সালাম হাওলাদারের ছেলে। বেসরকারি এনজিও সংস্থা আশার রাঙ্গাবালীর খালগোড়া শাখার ঋণ অফিসার কবির হোসেন (৩০)। তিনি বাউফলের কাশিপুরের লক্ষ্ণীপাশা গ্রামের শাহজাহান সিকদারের ছেলে। পটুয়াখালীর ময়দান মাদ্রাসা এলাকার রহিম হাওলাদারের ছেলে হাসান (৩৫) এবং বাউফলের জয়গোড়া এলাকার মৃত আলম হাওলাদারের ছেলে ইমরান (৩৪)। হাসান ও ইমরান রাঙ্গাবালীতে সড়ক নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ছিল। এদিকে, সরকারি নির্দেশনা অমান্য করার অপরাধে শুক্রবার স্পিডবোট পরিচালনাকারী ও চালকের বিরুদ্ধে মেরিন কোর্টে একটি মামলা করা হয়েছে বলে জানান পটুয়াখালী নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক খাজা সাদিকুর রহমান। এর আগে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় উপজেলার কোড়ালিয়া থেকে গলাচিপার পানপট্টির উদ্দেশ্যে যাওয়া আহম্মেদ এন্টারপ্রাইজের এই স্পিডবোট আগুনমুখা নদীর মাঝামাঝি গিয়ে ঢেউয়ের তোড়ে তলা ফেটে ১৭ জন যাত্রী ও এক চালকসহ ডুবে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার দেড়ঘণ্টা পর এক চালকসহ ১৩ জন যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও পাঁচজন নিখোঁজ ছিল। প্রশাসন জানায়, বৃহস্পতিবার রাত থেকে নিখোঁজদের উদ্ধারের জন্য কয়েক দফায় অভিযান চালায় পুলিশ, কোস্টগার্ড ও স্থানীয়রা। অবশেষে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় আগুনমুখা নদীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নিখোঁজদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে কোড়ালিয়া লঞ্চঘাটে চারজনের এবং পানপট্টিতে একজনের মৃতদেহ এনে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত শেষে ওইদিন দুপুরে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে প্রশাসন। রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ বলেন, সুরতহাল করে লাশগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে বেপরোয়া গতিতে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করার দায়ে রাঙ্গাবালী থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, নিহতদের তালিকা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে পাঠানো হয়েছে। যেহেতু কেউ রাঙ্গাবালীর স্থায়ী বাসিন্দা নয়, তাই সরকারি সহায়তা দিলে যার যার এলাকাতেই দেওয়া হবে।