নোয়াখালীর চাটখিলে বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে আরও এক ধর্ষণ মামলা

প্রকাশ | ২৫ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী
নোয়াখালীর চাটখিলে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ, বিবস্ত্র অবস্থায় ছবি এবং ভিডিও ধারণের অভিযোগে পুলিশ রিমান্ডে থাকা বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা মজিবুল রহমান শরীফের (৩২) বিরুদ্ধে আরও এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। চাটখিল থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম জানান, শুক্রবার মধ্যরাতে নোয়াখলা ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের এক নারী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে ওই নারী অভিযোগ করেন, তার স্বামী ঢাকায় একটি দোকানে কাজ করেন। এই সুযোগে ২০১৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাত ২টার দিকে শরীফ ওই নারীর বাড়িতে যায়। এরপর ঘরের জানালার কাচ ভেঙে শরীফ দুই রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে ওই নারীকে ভয় দেখিয়ে ঘরের দরজা খুলতে বাধ্য করে। ঘরে ঢুকে সে ওই নারীর সঙ্গে থাকা তার ছোট ভাইকে হাত ও মুখ বেঁধে শোবার ঘরে আটকে রাখে। এরপর ওই নারীকে অন্য একটি কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঘটনাটি কাউকে জানালে ওই নারী ও তার পরিবারের অন্য সদস্যদের হত্যার হুমকি দেয় শরীফ। যার কারণে ভয়ে এতদিন এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ না দিলেও গত ২১ অক্টোবর শরীফের গ্রেপ্তারের খবরে থানায় মামলা দায়েরের সাহস পান তিনি। অভিযুক্ত মজিবুল রহমান শরীফ চাটখিল উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের রফিকুল ইসলাম খোকনের ছেলে। গত ২১ অক্টোবর ভোরে ঘরে ঢুকে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ, বিবস্ত্র অবস্থায় ছবি এবং ভিডিও ধারণের অভিযোগে ওই নারী বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। শরীফ সম্পর্কে ওই নারীর চাচাত ভাসুরের ছেলে। ওইদিন বিকালে নোয়াখলা ইউনিয়নের ইয়াছিন হাজির বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ওইদিন রাতে শরীফকে নিয়ে তার বাড়ি থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে পৃথক একটি মামলা দায়ের করে। গত বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে তোলার পর ধর্ষণ ও অস্ত্র মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিচারক চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারের পর শরীফকে নোয়াখলা ইউনিয়ন যুবলীগের (পশ্চিম) সভাপতি পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।