প্রবারণা পূর্ণিমাকে ঘিরে জাঁকজমক প্রস্তুতি

প্রকাশ | ২৬ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

মংছিংপ্রম্ন, লামা (বান্দরবান)
লামায় জীনামেজু অনাথ আশ্রমে ফানুস তৈরিতে ব্যস্ত কিশোর-কিশোরীরা -যাযাদি
বান্দরবানের লামা উপজেলার মারমা সম্প্রদায়ের ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ (প্রবারণা পূর্ণিমা) উৎসবকে সামনে রেখে জাঁকজমক প্রস্তুতি চলছে পাহাড়ের বিভিন্ন পলিস্নতে। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মারমা সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় অনুষ্ঠান প্রবারণা পূর্ণিমার দিনকে ঘিরে চলছে এই ফানুস তৈরির কাজ। লামা মাহামুণি, উপজেলা কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহার, জীনামেজু বৌদ্ধ বিহারগুলোতে এই প্রস্তুতি চলছে। মহামুনি শিশু সদন পরিচালক সিংমং জানিয়েছেন, এখানকার বৌদ্ধ সম্প্রদায় পাড়া থেকে গৌতম বুদ্ধের চুলামণি চৈত্য বন্দনা করতে রংবেরঙের শত শত ফানুস বাতি আকাশে ওড়ানো হবে। প্রবারণা পূর্ণিমায় ফানুস উড়ানোর মূল উদ্দেশ্য হলো, রাজপুত্র সিদ্ধার্থ (গৌতম) জগৎ সংসারের মায়া-মোহ ছেড়ে, দুঃখ মুক্তি পথের সন্ধানে ২৯ বছর বয়সে শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমায় কপিলাবস্তুর রাজপ্রাসাদ ত্যাগ করেন সন্ন্যাসীর পোশাক পরিধান করেন। এসময় সিদ্ধার্থ আপন তরবারি দিয়ে মাথার চুল কেটে সত্যক্রিয়া অধিষ্ঠান করেন- 'আমি যে উদ্দেশ্যে সংসার-ধর্ম ত্যাগ করে সন্ন্যাস ধর্ম গ্রহণ করছি সে উদ্দেশ্য যদি পূর্ণ হয় অর্থাৎ ভবিষ্যতে বুদ্ধত্ব লাভ করতে পারি, তাহলে আমার কর্তিত চুলগুচ্ছ নিচে না পড়ে ঊর্ধ্বে আকাশে উড়ে যাবে...।' সত্যি সত্যিই তার চুল ঊর্ধ্বে উত্থিত হয়। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দৃঢ় বিশ্বাস সে পবিত্র চুল আজও আকাশে ভাসমান আছে। শাস্ত্রে আছে দেবরাজ ইন্দ্র পবিত্র চুল রাশি সংগ্রহ করে আকাশ (স্বর্গ) চুলামণি চৈত্য (জাদি) নির্মাণ করে দেন। সে চুলামণি চৈত্যকে বন্দনার জন্যই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা 'ফানুস' উড়ানো হয়। মহামুনি বৌদ্ধ বিহারে সেক্রেটারি উশৈসিং জানান, লামা উপজেলায় ৬৫টি বৌদ্ধ বিহারে প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন হবে। তবে করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে অনুষ্ঠানে মালা সাজানো হয়েছে। ক্যাপশন লামায় জীনামুজু অনাথ আশ্রমে ফানুস তৈরিতে ব্যস্ত কিশোর-কিশোরীরা