আজকের যায়যায়দিন

ব্যস্ত রাস্তার পাশে পড়ে থাকা মায়ের মুখটা আকাশমুখী। মাকে দেখার জন্য ভিড় করছেন অচেনা মানুষগুলো। তিন বছরের তন্বী তখনো বুঝে উঠতে পারছিল না, কি হয়েছে তার মায়ের? নির্বাক দাঁড়িয়েছিল নিষ্প্রাণ মায়ের সামনে। আর ফ্যালফ্যালিয়ে তাকিয়েছিল প্রত্যক্ষদর্শীদের মুখপানে।

শিশুটি কি বুঝতে পেরেছে এ ধরাতে তার সবচেয়ে আপনজন আর নেই? চিরতরে চলে গেছেন পরপারে। বুঝলেই বা কি হবে, এ যেন চরম বাস্তবতা !

গত শনিবার বিকালে হবিগঞ্জ-বানিয়াচং সড়কের শুটকি ব্রিজের নিকটে জোনাকী আক্তার (২২) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তখন তার তিন বছর বয়সি মেয়ে তন্বী সড়কে পড়ে থাকা মায়ের হাত ধরে দাঁড়িয়েছিল। এরপর পুলিশ মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ আড়াইশ শয্যার আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। একই সঙ্গে মেয়েটিকে নিয়ে যায় থানায়।

বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরান হোসেন যায়যায়দিনকে জানিয়েছেন, ছোট্ট শিশু তন্বী কথা বলতে পারছিল না। মায়ের লাশের পাশেই দাঁড়িয়েছিল। তিনি তার গাড়িতে

হাইকোর্টের নির্দেশও মানছে না সরকারি কর্মকর্তারা / চট্টগ্রামে ভূমিদসু্য চক্রের বিরুদ্ধে অর্পিত সম্পত্তি বিক্রির অভিযোগ

করেই মেয়েটিকে থানায় নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে একটি আপেল খেতে দেন। খবর পেয়ে তন্বীর নানী থানায় আসেন। এখন সে নানীর সঙ্গেই রয়েছে।

পুলিশ জানায়, মৃত জোনাকী আক্তার বানিয়াচং উপজেলার রঘু চৌধুরীপাড়ার অপু মিয়ার স্ত্রী ও আবু মিয়ার মেয়ে। তিনি দুই সন্তানের মা। প্রায় এক মাস আগে তন্বীকে সাথে নিয়ে, স্বামী এবং অপর সন্তানকে ফেলে অনিক নামে এক ছেলের সঙ্গে নেত্রকোনা চলে যান।

শনিবার অনিক অ্যাম্বুলেন্সে করে জোনাকীর মরদেহ নিয়ে বানিয়াচং যাচ্ছিলেন। পথে শুটকি ব্রিজ এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স থামালে স্থানীয়রা গাড়িতে মরদেহ দেখে তাকে তাড়া করেন। এ সময় তিনি হাওড় দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে এলাকার লোকজন তাকে আটক করে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ এসে তাকে আটক করে। সে উপজেলার কাষ্টগর গ্রামের নিহাল পান্ডের ছেলে।