রংপুরে স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ সাভারে গার্মেন্টশ্রমিক ধর্ষিত

হারাগাছ থানার এসআই রায়হানুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়েছে এবং পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে

প্রকাশ | ২৭ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
রংপুরে এক স্কুলছাত্রী এবং ঢাকার সাভারে পোশাকশ্রমিক ধর্ষণের শিকার হয়েছে। রংপুরের ঘটনায় হারাগাছ থানার এসআই রায়হানুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া দুজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর : রংপুর/কাউনিয়া : মহানগরের হারাগাছ থানার ময়নাকুঠি এলাকায় এক স্কুলছাত্রীকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে দল বেঁধে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার বাবা বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন। অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশ বু্যরো অব ইনভেস্টিগেশনের কাছে মামলাটি হস্তাস্তর করা হয়েছে। পুলিশ মেঘলা ও সম্পা নামে দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুই যুবক পলাতক রয়েছে। তবে হারাগাছ থানার এসআই রায়হানুল ইসলামের বিরুদ্ধেও এ অভিযোগ থাকায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়েছে এবং পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। রংপুর মেট্রোপলিটন উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মারুফ হোসেন মুঠোফোনে যায়যায়দিনকে জানান, হারাগাছ থানার এসআই রায়হানুল ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ থাকলেও এর সত্যতা পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে তদন্ত চলছে। সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য থানা হেফাজতে রয়েছেন। ধর্ষিতা কিশোরীর স্বজনদের অভিযোগ, রংপুর মহানগরীর হারাগাছ থানার ময়নাকুঠি এলাকার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন রংপুর মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল ইসলাম। একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে অভিযুক্ত এসআইয়ের সঙ্গে ওই স্কুলছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২৫ অক্টোবর সকালে ওই কিশোরীকে কাদেরের পুল এলাকার একটি বাড়িতে ডেকে নেন এসআই রায়হানুল ইসলাম। সেখানে আরও দুজন যুবক ছিলেন। পরে তারা ওই বাড়িতে দল বেঁধে ধর্ষণ করে। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করানো হয়। ওইদিন রাতে পুলিশ ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া সম্পা ও মেঘলা বেগম নামে দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। স্কুলছাত্রীর বাবা দুজনের নাম উলেস্নখ করে অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন। পরে আটক মেঘলা ও সম্পাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা মারুফ হোসেন। তিনি জানান, এসআই রায়হানুল ইসলাম আগে হারাগাছ থানায় ছিলেন। এখন তিনি মহানগর ডিবি পুলিশে রয়েছেন। এছাড়া পলাতক দুই যুবকের একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। আরেকজনের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। পুলিশ বু্যরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন বলেন, সোমবার বিকাল ৫টায় মামলাটি তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া মামলায় এজাহারভুক্ত ডিবি পুলিশ সদস্য রাজু ওরফে এএসআই রায়হানুল ইসলাম পুলিশ লাইনে রয়েছে। তদন্তে ওই তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সম্পৃক্ত পাওয়া গেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। সাভার : উপজেলার দক্ষিণপাড়া এলাকায় রোববার রাতে এক পোশাকশ্রমিক ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই শ্রমিক। পুলিশ জানায়, ধর্ষণের শিকার (৩২) ওই নারীশ্রমিক সাভারে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। রোববার রাতে তাকে দক্ষিণপাড়া এলাকায় একটি পরিত্যক্ত জায়গায় নিয়ে জোর করে ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি দিয়ে এক ব্যক্তি ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে রাতেই সাভার মডেল থানায় ওই শ্রমিক অভিযোগ করেন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন কেউকে আটক করতে পারেনি। ধর্ষিতার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএফএম সায়েদ বলেন, অভিযুক্তকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।