সখীপুরে অবৈধ সিসা কারখানায় স্বাস্থ্যঝুঁকি

প্রকাশ | ২৭ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

সাজ্জাত লতিফ, সখীপুর (টাঙ্গাইল)
টাঙ্গাইলের সখীপুরের কালিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে বনের জমি দখল করে আবাসিক এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ সিসা কারখানা। আশপাশে অর্ধশতাধিক পরিবার বসবাস করলেও স্থানীয় প্রভাবশালীরা দলীয় ক্ষমতা দেখিয়ে এ কারখানা গড়ে তুলেছে বলে জানা গেছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, সিসার রাসায়নিক পদার্থ পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হলেও মানছে না কারখানার মালিকপক্ষ। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে রামখা এলাকার কেবিজি চালায় একটি বনের জমির ভেতর চারদিকে টিনের বেষ্টনী করে পস্নটের মালিককে ম্যানেজ করে অবৈধ সিসা কারখানা গড়ে তুলেছেন ব্যবসায়ী রেজাউল। বাইরে থেকে দেখলে বোঝার উপায় নেই যে ভেতরে কোনো কারখানা রয়েছে। ভেতরে পাঁচজন শ্রমিক পরিত্যক্ত ব্যাটারির খোলস আলাদা করছেন। তাদের হাতে গস্নাভস কিংবা মুখ-পায়ে কোনো নিরাপত্তা সরঞ্জাম দেখা যায়নি। এসিড মিশ্রিত বর্জ্যের ছোট ছোট বেশ কয়েকটি স্তূপ দেখা যায়। মাটি গর্ত করে চারটি চুলা বানানো হয়েছে। চুলার পাশে ছোট ছোট সিসার টুকরা ও একটি ধোঁয়াপথ রয়েছে। একটু দূরে রয়েছে ডিজেলচালিত শ্যালো মেশিন। রাত ৮টা পর থেকে ভোর পর্যন্ত সিসা তৈরির কাজ করা হয় কারখানাতে। রাতে সিসা আগুনে পোড়ানোর সময় ধূসর ও কালো ধোঁয়ায় গ্রাম আচ্ছন হয়ে যায়। ধোঁয়ায় আশপাশের গাছপালাগুলো বিবর্ণ হয়ে গেছে। কারখানার ধোঁয়া ও বর্জ্যে ভয়াবহ পরিবেশ দূষণের কবলে গ্রামবাসী। এসিডের ঝাঁজালো গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে এলাকাবাসী। অসুস্থ হয়ে পড়ছে আশপাশের বাড়ির মানুষ। কারখানার মালিক রেজাউল বলেন, 'স্থানীয় যারা আছেন তাদের সঙ্গে কথা বলেন। আমার বাড়ি টাঙ্গাইল; এ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে পারবো না।' বলে ফোন রেখে দেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুস সোবাহান জানান, পরিত্যক্ত ব্যাটারির সিসা পোড়ার ধোঁয়া মানুষের কিডনিসহ শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ ও ক্যানসারের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।