মন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয়ে প্রতারণা গ্রেপ্তার ৬

প্রকাশ | ৩০ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
নবাব পরিবারের সন্তান ও মন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয়ে রাজধানীতে প্রতারণা করছিল একটি চক্র। এ চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগ। গ্রেপ্তারকৃতদের নাম- নবাব খাজা আলী হাসান আসকারী (৪৮), রাশেদ ওরফে রহমত আলী ওরফে রাজা (৩৪), মীর রাকিব আফসার (২০), সজীব ওরফে মীর রুবেল (৩৩), আহম্মদ আলী (৩৮), বরকত আলী ওরফে রানা (৩২)। বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে সিটিটিসির ইকোনমিক ক্রাইম অ্যান্ড হিউম্যান ট্রাফিকিং টিম। এসময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহূত নবাব পরিবারের অ্যামবুশ সীল, ওয়াকিটকি সেট (বেতারযন্ত্র, ভিওআইপি সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, একাধিক মোবাইল, সিমকার্ড, মেডিকেল রিপোর্ট, পাসপোর্টের কপি ও বিভিন্ন ভুয়া কোম্পানির লিফলেট উদ্ধার করা হয়। সিটিটিসির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার তৌহিদুল ইসলাম জানান, বিদেশে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে গত ২৪ অক্টোবর মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা রুজু হয়। অভিযোগে বলা হয়- করোনা পরিস্থিতিতে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ৫০০ লোক নিয়োগ দেওয়া হবে। এ জন্য মামলার বাদীকে বিদেশ যেতে আগ্রহী ৪০০ লোক সংগ্রহ করতে বলেন নবাব খাজা আলী হাসান আসকারী। তার কথায় বিশ্বাস করে বাদী বিদেশ যেতে আগ্রহী ৪০০ লোকের কাছ থেকে ৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা নিয়ে আসকারীকে দেন। পরে কাউকে বিদেশে না পাঠিয়ে বাদীর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন আসকারী। সিটিটিসি কর্মকর্তা জানান, এই চক্রটি প্রতারণা করে ১০ কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নিয়েছে। প্রতারক চক্রের প্রধান গ্রেপ্তারকৃত নবাব খাজা আলী হাসান আসকারী নিজেকে নবাব সলিমুলস্নাহ খাঁনের নাতি হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি প্রচার করেন- গণভবনে তার অবাধ যাতায়াত আছে, দুবাইয়ে তার গোল্ডের কারখানা আছে, বাবা ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। বাবা থাকেন নিউইয়র্কে। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের মালিকানায় অংশীদার রয়েছে বলে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেন। বাবার ব্যবসা তিনি নিজেই দেখেন। সিটিটিসি কর্মকর্তা আরও জানান, মন্ত্রী-এমপিসহ সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে ছবি তুলে ফেসবুক প্রোফাইলে দেন। পরে ওইসব ছবি প্রতারণার কাজে ব্যবহার করেন।