বয়সের ভারে নু্যব্জ যমুনাপাড়ের বৃদ্ধ হাসেম আলী। জাতীয় পরিচয়পত্রের হিসাব মতে তার বয়স (৮৩) বছর। লাঠি ভর করে চলাচল করেন। সবাই তাকে হাসেম কাকা বলে ডাকেন। বৃদ্ধা স্ত্রীকে নিয়ে একটি ঝুপড়ি ঘর তুলে বসবাস করছেন। অভাবের সংসারে দু'মুঠো ভাত জোগাড় করা তার পক্ষে দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। ইতোপূর্বে যমুনাগর্ভে চার দফায় বিলীন হয়েছে বসতবাড়ি। পাচ্ছেন না বয়স্ক ভাতা। এখন তিনি নিঃস্ব। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের হাটপাচিল গ্রামের যমুনার অববাহিকায় পরের জমিতে বসতি গড়ে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
জানা গেছে, দুই ছেলে ও এক মেয়ের বাবা হাসেম আলী। সন্তানরা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল না হওয়ায় সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। বৃদ্ধ হওয়ায় কোনো কাজকর্ম করার শক্তি-সামর্থও তার নেই। ফলে জীবনযুদ্ধের ক্লান্ত এই সৈনিকের নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে অভাব। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে বয়স্ক ভাতার কার্ড করার জন্য অনেকবার ধরনাও দিয়েছেন। কিন্তু কোনো সুরাহা মিলেনি।
বৃদ্ধ হাসেম আলী বলেন, 'মেম্বরগোরে অনেক কইছি, হ্যারা বলে আমার নাকি বয়স অয় নাই, বাবা আর কত বয়স অইলে বয়স্ক ভাতার কার্ড পামু আমি। মরার কিনারায় দাঁড়িয়ে আছি। মরার আগে কি এই কার্ড দেইহা যাবার পারমু।'
এ ব্যাপারে স্থানীয় কৈজুরী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে বয়স্ক ভাতার কার্ড বণ্টন করা হয়ে থাকে। তারা কেন করেননি, বিষয়টি জানা নেই। আগামীতে হাসেম আলীকে বয়স্ক ভাতায় তালিকাভুক্ত করা হবে।