আদালতের সিল জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া পরোয়ানা তৈরির অভিযোগ

প্রকাশ | ২২ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি ও দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলায়মান আলম শেঠের বিরুদ্ধে আদালতের সিলমোহর ও স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তুলেছেন চট্টগ্রাম মহানগর জাতীয় পার্টির একাংশের নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জাতীয় যুব সংহতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন ছিদ্দিকী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, 'বৈরী পরিস্থিতিতে দিশেহারা সোলায়মান শেঠ জাতীয় পার্টির সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম নগর জাতীয় পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা তপন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে লাগাতার অপপ্রচার ও প্রশাসনে মিথ্যা অভিযোগ করে আসছেন। তারই অংশ হিসেবে গত ৫ নভেম্বর রহস্যজনকভাবে ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবু্যনাল-২ আদালত থেকে একটি কাল্পনিক ও ভুয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় নারী ধর্ষণ মামলার ধারা লিপিবদ্ধ করে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় প্রেরণ করেন। এই সংবাদ স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমেও প্রকাশের ব্যবস্থা করেন।' নাছির উদ্দিন ছিদ্দিকী বলেন, 'এমতাবস্থায় এই জাপা নেতা ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবু্যনাল-২ এ হাজির হয়ে মামলার বিষয়ে যাচাই করে দেখেন ওই মামলায় তপন চক্রবর্তীর নাম নেই। এটি মূলত একটি যৌতুকের মামলা, যে মামলায় আদালত কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেনি। হ পৃষ্ঠা ১৫ কলাম ৪ এই রহস্যজনক ঘটনায় আদালত হতবাক হয়ে যায়। পর্যালোচনা শেষে আদালত অর্ডার শিটের মাধ্যমে ওই মামলায় তপন চক্রবর্তীর নামের কারও সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানান এবং এমন কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাঠানোর কথাও অস্বীকার করা হয়।' নাছির উদ্দিন ছিদ্দিকী ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবু্যনাল-২ এর সিলমোহর ও স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে নিজ দলের নেতার সম্মানহানি ও আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট করায় জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলায়মান আলম শেঠের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ও দলীয় পদ থেকে অপসারণের দাবি জানান। এদিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বলেন, 'বেশ কিছুদিন আগে আমাদের কাছে এমন (ওয়ারেন্ট) একটা কাগজ আসছিল। আমাদের সন্দেহ হওয়ায় তা ভেরিফাই করার জন্য পাঠিয়েছি। এর মধ্যে উনি (তপন চক্রবর্তী) মামলায় সংশ্লিষ্ট নেই বলে আদালত থেকে একটি লিখিত নিয়ে এসেছিলেন।'