বন্দরে 'করোনা নেগেটিভ' সনদ প্রদর্শনে তৎপর হওয়ার পরামর্শ

প্রকাশ | ২২ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
দেশের বিমান, স্থল ও সমুদ্র বন্দরগুলোতে দেশি-বিদেশি যাত্রীদের করোনা নেগেটিভ সনদ প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করতে সরকারকে আরও তৎপর হওয়ার পরামর্শ দেবে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে গঠিত জাতীয় পরামর্শক কমিটি। যা কঠোরভাবে বাস্তবায়নে সরকারকে আরও দৃঢ় অবস্থান নিতেও অনুরোধ জানাবে কমিটি। শুক্রবার রাতে জাতীয় পরামর্শক কমিটির এক ভার্চুয়াল সভায় আলোচনায় পরামর্শক কমিটির সদস্যরা এ বিষয়ে একমত হয়েছেন। পরামর্শক কমিটির একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, কমিটি করোনা শনাক্তে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি ও দ্রম্নত রিপোর্ট সরবরাহের ব্যবস্থা, হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের দ্রম্নত চিকিৎসা প্রদানে অক্সিজেন ও হাই ফ্লো নজেল ক্যানোলার পর্যাপ্ত মজুত রাখার ব্যবস্থা নিতেও পরামর্শ দেবে। কমিটির এক সদস্য জানান, দেশের বিভিন্ন বিমান, স্থল ও সমুদ্রবন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার দেশি-বিদেশি যাত্রী দেশে প্রবেশ করছেন। বন্দরগুলোতে আসা প্রত্যেক যাত্রীকে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখানোর কথা থাকলেও নানা অজুহাত এবং অবৈধ উপায়ে অনেক যাত্রী নেগেটিভ সনদ না দেখিয়েই বন্দর ত্যাগ করছেন। তাদের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। এসব কারণেই পরামর্শক কমিটির সদস্যরা কঠোরভাবে বিধিমালা মানতে বাধ্য করার জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন, পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ ও নির্দেশনা দেওয়ার অনুরোধ জানাবে। এছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন ও হাই ফ্লো নজেল ক্যানোলার পর্যাপ্ত সরবরাহের দাবি করা হলেও রোগীদের অনেকেই সময়মতো তা পাচ্ছে না বলে জানতে পেরেছেন পরামর্শক কমিটির সদস্যরা। এ কারণে অক্সিজেন ও হাইফ্লোনাজেল ক্যানোলার পর্যাপ্ত মজুদ রাখারও পরামর্শ দেওয়া হবে। কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সদস্য ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান বলেন, সবগুলো বন্দরে বিদেশ থেকে আসা প্রত্যেক যাত্রীর কাছে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকা বাধ্যতামূলক করতে সরকারকে পরামর্শ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কোনো যাত্রী করোনা সার্টিফিকেট না নিয়ে এলে কিংবা কারও আনা সার্টিফিকেট ভুয়া মনে হলে তাকে আইসোলেশন সেন্টারে পাঠিয়ে দ্রম্নত আরটি-পিসিআর পরীক্ষাগারে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা, পজিটিভ হলে নির্দিষ্ট সময় আইসোলেশন সেন্টার অথবা হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু এ ব্যাপারে আগে থেকে নির্দেশনা থাকলেও তা পালিত হচ্ছে না। ফলে করোনার সংক্রমণের হার বৃদ্ধি রোধে সরকারকে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আরও তৎপর হতে হবে।