উজি পিস্তল :সিদ্ধান্ত নিতে কমিটি গঠন

প্রকাশ | ২৩ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০

ম যাযাদি ডেস্ক
দেশের বেসামরিক নাগরিকদের হাতে থাকা 'মিলিটারি গ্রেডের' উজি পিস্তলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে সরকার ও আগ্নেয়াস্ত্র আমদানিকারকদের সভায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে রোববার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই 'আমদানি ও বিক্রয় সভা' হয়। পুলিশের মহা-পরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন নিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন ছাড়াও আগ্নেয়াস্ত্র আমদানিকারক ছয়টি কোম্পানির প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ আর্মস ডিলার অ্যান্ড ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নাসির আহমেদ বলেন, ছয়জন হ পৃষ্ঠা ১৫ কলাম ৬ প্রতিনিধি সভায় উপস্থিত ছিলেন। তারা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সভায় একটি কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হবে ওই অস্ত্র সাধারণ মানুষের কাছে থাকবে কি থাকবে না। মন্ত্রণালয়, পুলিশ সদর দপ্তর, পুলিশের বিশেষ শাখা এবং অস্ত্র আমদানিকারকদের একজন করে প্রতিনিধি নিয়ে ওই কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান তিনি। গত ২০ আগস্ট এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তারের পর দেখা যায়, তিনি একটি উজি পিস্তলের মালিক এবং সেটি লাইসেন্স করা। উজি পিস্তল আসলে অতি ক্ষুদ্র আকারের সাব-মেশিনগান। ইসরায়েলি সশস্ত্রবাহিনীর মেজর উজিয়েল গালের করা নকশায় চলিস্নশের দশকে প্রথম এ অস্ত্র তৈরি হয়। তার নামেই এ সাব-মেশিনগানের নামকরণ হয়। শুরুতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এ অস্ত্র তৈরি ও ব্যবহার করলেও পরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কোম্পানি লাইসেন্স নিয়ে উজি সিরিজের বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি শুরু করে। বাংলাদেশে পাওয়া অস্ত্রটি তৈরি করেছে বিখ্যাত জার্মান অস্ত্র নির্মাতা কার্ল ওয়ালথার। পরে জানা যায়, ছয়টি প্রতিষ্ঠান গত পাঁচ বছরে এ ধরনের মোট ১১১টি আগ্নেয়াস্ত্র আমদানি করেছে। সবগুলোই আনা হয়েছে পয়েন্ট টু টু বোরের 'রাইফেল' ঘোষণা দিয়ে। যদিও কোনো মডেলের উজি তাদের আমদানি বা বিক্রি করতে পারার কথা নয়।