শিশু সামিউল হত্যার রায় হচ্ছে ১০ বছর পর

প্রকাশ | ২৪ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০

ম যাযাদি রিপোর্ট
খন্দকার সামিউল আজিম
এক দশক আগে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিংয়ে পাঁচ বছরের শিশু খন্দকার সামিউল আজিম ওয়াফি হত্যা মামলায় আগামী ৮ ডিসেম্বর রায়ের দিন রেখেছেন আদালত। মায়ের 'পরকীয়া'র জেরে ২০১০ সালের ২৩ জুন রাতে আদাবরে নিজেদের বাসায় সামিউল খুন হয় বলে মামলার বিবরণে বলা হয়। নবোদয় হাউজিংয়ের গ্রিনউড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ইংলিশ মিডিয়ামে পেস্ন-গ্রম্নপের ছাত্র ছিল সামিউল। এ ঘটনায় সামিউলের মা আয়েশা হুমায়রা এশা (২৫) এবং তার প্রেমিক শামসুজ্জামান বাক্কুকে (৩৮) আসামি করে আদাবর থানায় হত্যা ও লাশ গুমের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন সামিউলের বাবা কে আর আজম। দুই আসামিকেই গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছিলেন তারা। ২০১৪ সালে হাইকোর্ট থেকে জামিনে বেরিয়ে বাক্কু মামলা চালানো বন্ধ না করলে ছেলের মতো তাকেও মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দিয়েছিলেন জানিয়ে থানায় জিডি করেছিলেন কে আর আজম। ওই বছর নিজেই আদালতে আবেদন করে স্ত্রীর জামিন করিয়েছিলেন আজম, পরে কিছুদিন ওই স্ত্রীর সঙ্গে ঘরও পেতেছিলেন তিনি। সে সময় কিডনিতে সমস্যার কথা জানিয়ে স্ত্রীর জামিন করানো আজম মামলার বিচার প্রক্রিয়া চলার মধ্যেই মারা গেছেন। মারা যাওয়ার আগে ২০১৫ সালের নভেম্বর মামলার গতিপ্রকৃতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। আজম বলেছিলেন, 'আমি স্ত্রী হুমায়রাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। কিছুই আমার করার নেই। সবই ভবিতব্য। কিন্তু সন্তান সামিউলকে আজও স্বপ্নে দেখতে পাই।' ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে এই মামলার বিচার চলে। বিচারক শেখ নাজমুল আলম উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হওয়ায় আগামী ৮ ডিসেম্বর রায়ের তারিখ রেখেছেন।