কালিকাদোহার জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

প্রকাশ | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা
৯ একর আয়তনের জলাকার। যাকে স্থানীয়রা কালীকাতলা বা কালিকাদোহা বলে চেনে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নলডাঙ্গা গ্রামে এ দোহার অবস্থান। দোহার পশ্চিম পাশে রয়েছে কালীকাতলা মহাশ্মশান। পূবর্-দক্ষিণে রয়েছে গঙ্গামন্দির। আর এই মন্দির ধরে দোহায় নেমে গেছে একটি দশর্নীয় সিঁড়ি। যে সিঁড়ি ব্যবহার করে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ প্রতি বছর গঙ্গা পূজা করে থাকেন। এ সময় হাজার হাজার মানুষ এখানে পুণ্য¯œান করে থাকেন। এছাড়া হিন্দু-মুসলিম অধিবাসীরা গোসল ও রান্নাসহ নানা কাজে এই দোহার পানি ব্যবহার করে থাকেন। জানা গেছে, বহুকাল ধরে মন্দির কমিটিসহ স্থানীয়দের বিভিন্ন সংগঠন সরকারের কাছ থেকে লিজ নিয়ে এখানে মাছ চাষ করে আসছিল। ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে জেলা প্রশাসন এই দোহাটি সনাতন ধমার্বলম্বীদের জন্য পুণ্যস্থান এবং এই অঞ্চলের সবর্সাধারণেনর পানীয় জলের জন্য ইজারা বহিভূর্ত জলমহাল ঘোষণা করে। ২০১২ সালে মামলা সংক্রান্ত জটিলতায় সরকারের এক আদেশে জেলা প্রশাসক দোহাটি দখলমুক্ত করে তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। তখন থেকে দোহাটি সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করায় কচুরিপানায় ভরে যায়। পানি দূষিত হয়ে বড় বড় মাছসহ দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে যায়। ফলে দীঘির্দন এটি লিজ না দেয়ায় একদিকে সরকার যেমন প্রতি বছর মোটা অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা পূজা ও পুণ্য¯œানসহ প্রয়োজনীয় কোনো কাজে এই দোহার পানি ব্যবহার করতে পারছে না।