সড়ক আইন সংসদে উঠছে আগামী রোববার: কাদের

প্রকাশ | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বুধবার নগর ভবনে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কতৃর্পক্ষের ১১তম বোডর্ সভায় সভাপতিত্ব করেন Ñযাযাদি
চলতি সংসদেই সড়ক পরিবহন আইন সংসদে পাস করিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার নগর ভবনে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কতৃর্পক্ষের (ডিটিসিএ) সভায় তিনি বলেন, আগামী রোববার আইনটি তিনি সংসদে উপস্থাপন করবেন। এরপর এটি স্ট্যান্ডিং কমিটিতে যাবে। তারা যাচাই-বাছাই করবেন। পরে পালাের্মন্টের সবের্শষ অধিবেশনে (অক্টোবরে) এটি পাস হবে ইনশাল্লাহ। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর দাবিতে শিক্ষাথীের্দর আন্দোলনের মধ্যে আগস্টের শুরুতে তড়িঘড়ি এ আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করে সরকার। আন্দোলনকারীরা সড়ক দুঘর্টনায় মৃত্যুর জন্য দায়ী চালকের মৃত্যুদÐের দাবি জানালেও প্রস্তাবিত আইনে প্রাণহানির ঘটনায় সবোর্চ্চ পঁাচ বছরের কারাদÐ ও অথর্দÐের বিধান রাখা হয়েছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর সড়ক দুঘর্টনা রোধে এক মতবিনিময় সভায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে কিশোর-কিশোরীদের আন্দোলনকে ‘স্যালুট’ জানিয়ে কাদের বলেছিলেন, ‘তারা আন্দোলন করেছে বলেই আইনটা যেভাবেই হোক আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। ‘কিছু কিছু জায়গায় সংশোধনের সুযোগ আছে; সংসদে বিস্তারিত আলোচনা হবে। হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। দেশের মানুষের জন্য আইন যদি যুক্তিযুক্ত না হয় তাহলে আইন এর সুফল দেবে না।’ বুধবার ডিটিসিএ সভায় মন্ত্রী বলেন, জনগণের দুভোর্গ কমাতে আগামী ডিসেম্বর পযর্ন্ত বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের খেঁাড়াখুঁড়ি বন্ধ থাকবে। ‘সামনে নিবার্চন, সব দলের নেতাকমীর্রা বিভিন্ন এলাকায় যাবেন, সাংবাদিকরা যাবেন। ঢাকায় প্রবেশ এবং বের হওয়ার গেটওয়ে গাজীপুর। খেঁাড়াখুঁড়ির কারণে ওই রাস্তা দুভোর্গ এড়াতে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গাজীপুরে বিআরটির নামে রাস্তা বন্ধ করে খেঁাড়াখুঁড়ি মোটেও এপ্রিশিয়েট করি না। যেহেতু এই কাজ শেষ করতে দেরি হবে, চার মাস পরে হলে কী হবে?’ রাস্তা খেঁাড়াখুঁড়ি বন্ধ থাকলেও প্রকল্পের অন্য কাজ চলবে বলে জানান সড়ক পরিবহনমন্ত্রী। ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পযর্ন্ত সাড়ে ২০ কিলোমিটার বিআরটি চালু হলে উভয় দিক থেকে ঘণ্টায় ২৫ হাজার যাত্রী পরিবহন সম্ভব হবে বলে আশা করছে সরকার। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মোটরসাইকেলে চড়া শিশুদেরও হেলমেট পরা নিশ্চিত করতে সভায় নিদের্শনা দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, এখন পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো। ‘মোটরসাইকেল চালানোর সময় হেলমেট পরার পরিমাণ আগের চেয়ে বেড়েছে। এটা ইতিবাচক। তবে এটা শিশুদের ক্ষেত্রেও কাযর্কর করতে হবে। দুঘর্টনায় পড়লে শিশুরাও যেন মারাত্মক ক্ষতির শিকার না হয়।’ নাগরিকদের সচেতন করতে সেপ্টেম্বরজুড়ে ঢাকা মহানগরীতে বিশেষ ট্রাফিক কমর্সূচি পালন করা হচ্ছে। কোনো মোটরসাইকেল চালকের হেলমেট না থাকলে তার গাড়িতে জ্বালানি সরবরাহ না করতেও অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। মন্ত্রী জানান, রাজউক থেকে ঢাকার পূবার্চল উপশহর প্রকল্পে বাস ডিপো করতে ডিটিসিএ-এর নামে সাত একর জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ডিটিসিএ-এর নিবার্হী পরিচালক খন্দকার রকিবুর রহমানের সঞ্চালনায় সাভার, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী পৌরসভার মেয়র, পুলিশ, সরকারের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি এবং পরিবহন মালিক ও শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা এ সভায় অংশ নেন।