রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদশর্ন

মিয়ানমারকে চাপ দেয়ার আহŸান ওআইসির

‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে তা একটি ভালো দিক। তবে যেসব মুসলিম দেশের সঙ্গে মিয়ানমারের সম্পকর্ ভালো রয়েছে তাদেরও এগিয়ে আসতে হবে’

প্রকাশ | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
বুধবার উখিয়ার কুতুপালং শরণাথীর্ ক্যাম্প পরিদশর্নকালে রোহিঙ্গা শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান ওআইসি পালাের্মন্টারি ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা Ñযাযাদি
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমারকে চাপ দেয়ার আহŸান জানিয়েছেন অগার্নাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) পালাের্মন্টারি ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা। বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদশের্নর পর সাংবাদিকদের সামনে আন্তজাির্তক সম্প্রদায়ের প্রতি এ আহŸান জানান তারা। উখিয়ার কুতুপালং শরণাথীর্ ক্যাম্পে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ওআইসি পালাের্মন্টারি ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের নেতা (সেক্রেটারি জেনারেল) এম জুহামেদ কুরাইশি নিয়াজ বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করতে এবং রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোকে আরও জোরালো ভ‚মিকা রাখতে হবে। পাশাপাশি মিয়ানমারের সঙ্গে যেসব দেশের সম্পকর্ ভালো তাদেরও এ সংকট সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে তা একটি ভালো দিক। তবে যেসব মুসলিম দেশের সঙ্গে মিয়ানমারের সম্পকর্ ভালো রয়েছে তাদেরও এগিয়ে আসতে হবে।’ তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের এ সংকটে আন্তজাির্তক স¤প্রদায়ের বসে থাকলে চলবে না। আন্তজাির্তক স¤প্রদায়কে অবশ্যই রোহিঙ্গাদের পাশে থাকতে হবে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদশের্ন এসে এবং তাদের সঙ্গে কথা বলে যে অবস্থা দেখেছি, তা সত্যিই অবণর্নীয়। এতে বোঝা যায় মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর সত্যিই ববর্র নিযার্তন হয়েছে। আমাদের অবশ্যই রোহিঙ্গাদের পাশে এসে দঁাড়াতে হবে এবং তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে হবে। এজন্য মিয়ানমারকে চাপ প্রয়োগ করার আহŸান জানাই।’ এর আগে ওআইসির সংসদীয় প্রতিনিধি দল সকালে কক্সবাজার বিমান বন্দর হয়ে সরাসরি ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্প পরিদশের্ন যান। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘ইউনিএইচসিআর’ এর ট্রানজিট সেন্টারে যান। সেখানে নিযার্তত কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন। এছাড়া উখিয়ার কুতুপালং ডি-৪ বøকে অবস্থিত ইউএনএইচসিআর, ইউএনএফপি, ইউএনডিপিসহ বিভিন্ন আন্তজাির্তক দাতাসংস্থার নারীবান্ধব কেন্দ্র, শিশুবান্ধব কেন্দ্রের নিযাির্ততদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে দুপুর ২টার দিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৫ বøকের ইউএনএইচসিআরের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের তারা ব্রিফিং করেন। বিকালে প্রতিনিধি দলটির ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ওআইসির ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল আলী আজগর মোহাম্মদী সিজানি, ডিরেক্টর অব কনফারেন্স জাহিদ হাসান কুরশি, ইরানের সংসদ সদস্য সৈয়দ হিমায়েত মিরজাদি, মোহাম্মদ হোসাইন কুডর্লু, তুরুস্কের হেড অব ডেলিগেশন ওরহান এ্যাটালাই, মমতাজ জারনি, মালয়েশিয়ার ডেপুটি স্পিকার রশিদ বিন হাসনুন, মহসীন বিন আব্দুল মালেক, আলজেরিয়ার সংসদ সদস্য ইউসেফ এডজিসা, সুদানের ওমর ইবনে দুউদ, মাহামুদু ডিজুগা ডিজুদ্দি, ইসাখা ইসা ইউসুফ, আল হাসান মোহাম্মদ, অসীম উমর আহমেদ আদনান, মোক্তার আহমদ, মাহজুমা হাসান মুসা, আবদেল রহমান হোসাইন, মরক্কোর মোহাম্মদ ওজ্জিন, বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব স্বণার্লী ছন্দাসহ বিভিন্ন আন্তজাির্তক দাতাসংস্থার প্রতিনিধিরা।