শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

খুলনায় নির্দেশ অমান্য ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের

ম আতিয়ার রহমান, খুলনা
  ২৫ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০

খুলনায় বন্ধের নির্দেশ অমান্য করে চলছে ভুয়া ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। একদিকে মহামারি করোনা, অন্যদিকে দালালদের অত্যাচার, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, প্রশিক্ষিত জনবল ও লাইসেন্স না থাকায় গত ১৬ নভেম্বর বন্ধ করে দেওয়া হয় নগরীর শামসুর রহমান সড়কের মিশু ক্লিনিক ও হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেন্সি সেন্টার, প্যাসিফিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও কমপেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার। স্বাস্থ্য বিভাগীয় পরিচালকের কার্যালয় থেকে অভিযান চালিয়ে লিখিতভাবে এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

কিন্তু নির্দেশ অমান্য করে মাত্র ৬ দিনের মধ্যে আবারও ব্যবসা শুরু করেছে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো। নগরীর কয়েকটি এলাকা ঘুরে বন্ধ ঘোষিত প্রতিষ্ঠানগুলো চালু রাখতে দেখা গেছে। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জানা গেছে, গত দুই মাস ধরে নিবন্ধনহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগ। এ পর্যন্ত ৩২টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করা এসব প্রতিষ্ঠানের ছিল না কোনো নিবন্ধন, প্রয়াজনীয় সরঞ্জাম এবং বৈধ অনুমোদন। গত শনিবার বন্ধের নির্দেশ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, বেশকিছু ডায়াগনস্টিক সেন্টার নির্দেশ অমান্য করে চালু রয়েছে।

গতকাল বিকেল ৩টায় নগরীর শামসুর রহমান রোডের মিশু ক্লিনিকে গিয়ে দেখা গেছে, অনেক রোগীর উপস্থিতি। ক্লিনিকটির ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত কাউকে সেখানে পাওয়া যায়নি। কর্মচারীরা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। কেয়ার ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টারে গিয়েও দেখা গেছে একই চিত্র। সেখানেও কর্তৃপক্ষের কেউ ছিলেন না। ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার খোলা ছিল। তবে ভেতরে রোগী দেখা যায়নি। প্যাসিফিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়েও দেখা গেছে রোগীর ভিড়। সেখানে বিভিন্ন পরীক্ষা করাতে ভিড় জমাচ্ছেন গ্রাম থেকে আসা রোগীরা।

প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক অসিত বরণ বিশ্বাস যায়যায়দিনকে বলেন, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এসি ছিল না বলে বন্ধ করার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু এখন আমরা এসি লাগিয়েছি এবং লাল, হলুদ ও সবুজ কালারের ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করেছি। তবে বন্ধের নোটিশের পরে প্রতিষ্ঠান চালানোর অনুমতি নিয়েছেন কি না তা জানতে চাইলে তিনি উত্তর দেননি।

খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা যায়যায়দিনকে বলেন, নির্দেশ অমান্য করে চালু করলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। তিনি বলেন, যেসব অভিযোগের কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করা হয়েছে, তারা সবকিছু ঠিক করার পর আমরা তদন্ত করে দেখব। এরপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, সেটা চালু করা যাবে কি না। এর আগে কেউ ক্লিনিক খুলতে পারবে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে