মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

নিজের শরীরে আগুন দেওয়া সেই গৃহবধূর মৃতু্য

ম যাযাদি রিপোর্ট
  ২৫ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে স্বামী ও শাশুড়ির নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে গায়ে আগুন দেওয়া সেই গৃহবধূ শারমিন আর বেঁচে নেই। পোড়া দগদগে ঘাঁ নিয়ে চারদিন মৃতু্যযন্ত্রণায় ভোগে মঙ্গলবার ভোরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড পস্নাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

গত শুক্রবার দুপুরের দিকে ধোলাইপাড় কবরস্থান রোড এলাকায় শারমিনের বাবা আবদুল মান্নান ব্যাপারির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। শারমিনের শরীরের নব্বই শতাংশই দগ্ধ হয়েছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

নিহত শারমিনের খালাত বোন আফরোজা আক্তার জানান, পারিবারিকভাবে তিন বছর আগে পিকআপ ভ্যানচালক রমজানের সঙ্গে তার বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পরপরই যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী এলাকায় স্বামীর বাড়িতেই থাকতেন তিনি। বিয়ের পরের বছর তাদের এক ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। এই সন্তান নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ হতো। একপর্যায়ে সন্তানটি অসুস্থ হয়ে মারা যায়। এরপর শারমিনও দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থেকে সুস্থ হয়ে বাসায় চলে যান। সে সময় স্বামী তার কোনো খবর নেননি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। রমজান ও তার মায়ের সঙ্গে পারিবারিক কলহের কারণে গত কয়েক মাস ধরে শারমিন বাবার বাড়িতেই থাকতেন। শারমিন কয়েকদিন আগে শ্বশুরবাড়িতে গেলেও সেখানে থাকতে পারেননি। পরে স্বামী ও শাশুড়ির সঙ্গে পারিবারিক কলহের কারণে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। এরপর তার স্বামী ফোনে বিভিন্ন রকমের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন শারমিনকে। যা সহ্য করতে পারেননি তিনি। স্বামীর নির্যাতনে মানুষিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে গত শুক্রবার বাবার বাড়িতেই নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। মৃতু্যর আগে শারমিন বলে গেছেন, তার এ অবস্থার জন্য দায়ী তার স্বামী ও শাশুড়ি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে