তুচ্ছ ঘটনায় সহকর্মীর গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন

প্রকাশ | ২৫ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০

ম যাযাদি রিপোর্ট
রাজধানীর শ্যামপুরে একটি ফিলিং স্টেশনে ঘুমিয়ে থাকা সহকর্মীকে ডেকে তোলায় ক্ষিপ্ত হয়ে রিয়াদ হোসেনের (২০) শরিরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে অপর এক সহকর্মী। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে সালাউদ্দিন ফিলিং স্টেশনের এ ঘটনায় রিয়াদকে ৪০ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ মাহমুদুল হাসান ইমন (২২), ফাহাদ আহম্মেদ পাভেল (২৮) ও শহিদুল ইসলাম রনি (১৮) নামে ফিলিং স্টেশনের তিন কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে। শ্যামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার ৩ জন ও রিয়াদ রাতে ওই ফিলিং স্টেশনে দায়িত্ব পালন করছিল। এদের মধ্যে মাহমুদুল হাসান ইমন ভোর ৪টার দিকে ঘুমিয়ে পড়ে। এসময় ইমনকে ঘুম থেকে ডেকে তোলার রনি ও ফাহাদ রিয়াদকে পাঠায়। অনেক ডাকাডাকির এক পর্যায়ে ইমন ঘুম থেকে না ওঠায় তার শরিরে পেট্রোল দিতে বলে। পেট্রোল ঠান্ডা জাতীয় হওয়ায় দ্রম্নত ঘুম ভেঙে যাবে বলে তাদের ধারণা ছিল। এতে রাজি না হওয়ায় রনি ও ফাহাদ রিয়াদকে দিয়ে জোর করে একটি পানির বতলের মুটকিতে সামান্য পেট্রোল নিয়ে ইমনের শরীরে দেওয়ায়। এতেও ইমন ঘুম থেকে না ওঠায় দ্বিতীয়বারও একইভাবে তার শরীরে পেট্রোল ছিটানো হয়। এরপর ইমনের ভুম ভাঙে। ঘুম থেকে উঠে ইমন তার শরীরে পেট্রোল ছিটানো ব্যক্তির সন্ধান করতে থাকে। রনি ও ফাহাদ এসময় রিয়াদের নাম বলে। পরে আধা লিটার পেট্রোল নিয়ে ইমন রিয়াদের সন্ধান করতে থাকে। রিয়াদ এসময় স্টাফ রুমে অবস্থান করছিল। সেখানে গিয়ে রিয়াদের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় ইমন। দ্রম্নত আগুন ছড়িয়ে পড়লে তারা তিনজন মিলে আগুন নিভিয়ে ফেলে। এরপর তাকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসে। এরপর পুলিশ খবর পেয়ে ওই ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। রিয়াদের বাবা মো. ফরিদ হোসেন বলেন, রিয়াদ সিদ্ধেশ্বরী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সের শিক্ষার্থী। পড়াশোনার পাশাপাশি সালাউদ্দিন ফিলিং স্টেশনে সে কাজ কাজ করত। দুই ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল বড়। সামান্য কারণে ছেলের সহকর্মীরা পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ায় তিনি হতবাক। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন ফরিদ হোসেন।