দশম গ্রেডে উন্নীত হচ্ছে ইউপি সচিবদের বেতন স্কেল

প্রকাশ | ২৫ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০

ম যাযাদি ডেস্ক
ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সচিবদের বেতন স্কেল দশম গ্রেডে উন্নীত করার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। ইউপি সচিবদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এরপর স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে চারটি তথ্য চায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ চারটি তথ্যের বিষয়ে মতামত দিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে গত ১৮ নভেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জানতে চাওয়া হয়, ইউনিয়ন পরিষদের সচিব পদ সরকারি রাজস্ব খাতভুক্ত কি না। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ জানিয়েছে, ইউপি সচিব পদ সরকারি রাজস্ব খাতভুক্ত নয়। তবে ইউপি সচিবের বেতনের ৭৫ শতাংশ সরকারের রাজস্ব খাত থেকে এবং অবশিষ্ট ২৫ শতাংশ ইউনিয়ন পরিষদের রাজস্ব খাত থেকে দেওয়া হয়। ইউপি সচিব পদের স্বতন্ত্র নিয়োগবিধি আছে কি না জানতে চাওয়া হলে জানানো হয়, ইউনিয়ন পরিষদ (পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ ও চাকরির শর্তাবলি) বিধিমালা, ২০১১ নামে ইউনিয়ন পরিষদ সচিবদের একটি স্বতন্ত্র নিয়োগবিধি আছে। অন্যান্য দপ্তরের ইউপি সদস্যদের সমান্তরাল পদ আছে কি না জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এমন জিজ্ঞাসার জবাবে স্থানীয় সরকার বিভাগ জানায়, অন্যান্য দপ্তরে ইউপি সদস্যদের সমান্তরাল পদ আছে। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় ১৯৯২ সালের পৌরসভার কর্মচারী চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী 'গ' শ্রেণির পৌরসভার সচিব দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা। এছাড়া ইউনিয়ন পর্যায়ে সমযোগ্যতা কিংবা নিম্নযোগ্যতা সম্পন্ন সরকারি অনেক কর্মকর্তা রয়েছেন, যাদের বেতন স্কেল এরই মধ্যে ১৪তম গ্রেড থেকে দশম গ্রেডে উন্নীত হয়েছে। যেমন- ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রভৃতি। প্রস্তাবিত পদের বেতন স্কেল উন্নীত করা হলে সরকারি অন্যান্য দপ্তরে প্রভাব পড়বে কি না এমন জিজ্ঞাসা ছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের। প্রস্তাবিত পদের বেতন স্কেল উন্নীত করা হলে সরকারি অন্যান্য দপ্তরে প্রভাব পড়বে না। কারণ ইউপি সচিব বস্নক পোস্ট এবং এতে কোনো পদোন্নতি নেই এমন মতামত স্থানীয় সরকার বিভাগের। ইউপি সচিবদের বেতন স্কেল দশম গ্রেডে উন্নীত করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিল বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ সেক্রেটারি সমিতি (বাপসা)। ইউপি সচিবরা বলছেন, এইচএসসি বা ডিপেস্নামাধারীরা সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ১০ম ও ১১তম গ্রেড স্কেলে অফিসার মর্যাদা পেলেও ইউনিয়ন পরিষদ সচিবরা স্নাতকধারী ও অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্নাতকোত্তর হওয়া সত্ত্বেও ১৪তম স্কেলের অফিসার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। ফলে ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জবাবদিহিতার ক্ষেত্রে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়।