পিডবিøউডির অবহেলায় স্থগিত করতে হয় সংসদ কাযর্ক্রম!

প্রকাশ | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০ | আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:১৮

যাযাদি রিপোটর্
জাতীয় সংসদে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের দায় সবাই এড়িয়ে গেলেও সংসদ ভবন রক্ষাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা গণপূতর্ অধিদপ্তরের (পিডবিøউডি) কমর্কতাের্দর অবহেলাকেই এজন্য দায়ী করছেন সংসদ ও বিদ্যুৎ বিভাগ সংশ্লিষ্টরা। নজিরবিহীন এ ঘটনায় সংসদ অধিবেশনের মঙ্গলবারের সব কাযর্ক্রম স্থগিত করতে ডেপুটি স্পিকার বাধ্য হলেও সংসদে কতর্ব্যরত পূতর্ কমর্কতার্রা তাৎক্ষণিক সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেননি। উল্টো দায় চাপিয়েছেন বিদ্যুৎ বিভাগ ও ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কতৃর্পক্ষের (ডিপিডিসি) কঁাধে। মেঘনা ঘাটের ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ গ্রিডের কাল্পনিক সমস্যার অজুহাত দেখিয়ে নিজেদের দায় সারেন পিডবিøউডির দায়িত্বশীলরা। এদিকে বিদ্যুৎ গ্রিডে কোনো সমস্যা হয়নি জানিয়ে এ ঘটনার জন্য স্থানীয় পিডবিøউডিকে দায়ী করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। দায় যে তাদের নয় তা প্রমাণে বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে এরইমধ্যে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম সচিব ফয়জুল আমীনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি এবং ডিপিডিসির পরিচালক (অপারেশন) এ টি এম হারুনুর রশীদকে প্রধান করে চার সদস্যের আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। মঙ্গলবার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে জাতীয় সংসদে নেমে আসে অন্ধকার। বিকাল ৫টায় সংসদ অধিবেশন শুরুর পনের মিনিট আগে বিদ্যুৎ চলে গেলেও সেখানে সন্ধ্যা পযর্ন্ত লাইন দিতে না পারায় সংসদের বেশির ভাগ বøক অন্ধকারে ছেয়ে যায়। এজন্য অধিবেশনও শুরু হয় পনের মিনিট পর। তবে কিছু কিছু বøকে জেনারেটর নিয়ে আলোর ব্যবস্থা করে ঘণ্টাখানেক অধিবেশন চলার পর ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া সংসদের সব কাজ স্থগিত করে অধিবেশন মুলতবি করে দেন। এ বিষয়ে পরে ডেপুটি স্পিকার বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় অধিবেশন চালানো সম্ভব হচ্ছে না। সংশ্লিষ্টরা তাদের জানিয়েছেন, মেঘনা ঘাটের ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ গ্রিডে কারিগরি সমস্যা দেখা দেয়ায় সংসদে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এজন্য সংসদের অধিবেশন মুলতবি করা হয়েছে। সংসদের কমর্কতার্রা জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর তা এলেও সংসদের লাইন দেয়া যাচ্ছিল না। বারবার কেটে যাচ্ছিল। এজন্য এখন আর লাইন দেয়ার সাহস পাচ্ছেন না কমর্কতার্রা। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে লাইন দেয়া হবে। এ বিষয়ে ডিপিডিসির প্রকৌশল বিভাগের নিবার্হী পরিচালক মো. রমিজ উদ্দিন সরকার বলেন, মেঘনা ঘাটের বিদ্যুৎকেন্দ্র ট্রিপ করায় পিজিসিবির আমিনবাজারের ১৩২ কেভি গ্রিড লাইন ‘ট্রিপ’ করে। এতে আমিনবাজার থেকে সংসদ ভবনে আসা ডিপিডিসির লাইনটিতে লো-ভোল্টেজের সমস্যা হয়। যার ফলে ডিপিডিসির বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জেনারেটর চালু হয়ে যায়। ডিপিডিসির কোনো সমস্যা ছিল না। তবে পিজিসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুম আল বেরুনী বলেন, ‘আমাদের কোনো লাইন ট্রিপ করেনি। ফলে পিজিসিবির লাইনের কারণে এ ঘটনা ঘটেনি।’ পিজিসিবির কমর্কতার্রা বলছেন, এটা ডিপিডিসি বা পিজিসিবির সমস্যা নয়। যেহেতু সংসদের বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্ব পালন করে গণপূতর্ (বিদ্যুৎ) বিভাগ, তাদের কোনো সমস্যা হতে পারে। এ ব্যাপারে গণপূতের্র দায়িত্বশীল কমর্কতাের্দর সাথে যোগাযোগ করা হলেও তারা কেউই এ বিষয়ে মুখ খুলছেন না।