বস্ত্র, কৃষি উন্নয়ন ও বরেন্দ্র কতৃর্পক্ষ বিল পাস

প্রকাশ | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০ | আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:১৯

যাযাদি রিপোটর্
দেশের বস্ত্রখাতকে বিনিয়োগ সুসংহত ও টেকসই উন্নয়নের জন্য চাহিদাভিত্তিক শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়ন করে দক্ষ জনবল সৃষ্টির লক্ষ্যে নতুন বস্ত্র বিল ২০১৮, দেশে ক্রমবধর্মান জনসংখ্যার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন বিল ২০১৮ এবং বরেন্দ্র ও তৎসংলগ্ন এলাকার কৃষি উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৮ পাস করেছে সংসদ। ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে বুধবার সংসদের ২২তম অধিবেশনের বৈঠকে বিলগুলো পাস হয়। বিলের ওপর আনীত সংশোধনী, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। বস্ত্র বিল ২০১৮ পাসের প্রস্তাব করেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মুহা. ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিকের পক্ষে বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মিজার্ আজম। এছাড়া বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন বিল ২০১৮ ও বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কতৃর্পক্ষ আইন ২০১৮ পাস করার প্রস্তাব করেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। বস্ত্র বিলে বলা হয়েছে, রপ্তানিমুখী বস্ত্রশিল্পে ব্যবহার বা প্যাকেজিংয়ের জন্য আমদানি করা কঁাচামাল রপ্তানিবহিভূর্ত বস্ত্রশিল্পে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে বিক্রি বা বাজারজাত করা যাবে না। বিলে বায়িং হাউজের নিবন্ধনের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া মিলগুলোর ব্যবস্থাপনা, তদারকি ও আধুনিকায়নের সুযোগ রাখা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, সরকার বস্ত্র খাতে সরকারি, বেসরকারি, বৈদেশিক, বহুজাতিক কোম্পানি, দেশি-বিদেশি ব্যাংক বা আথির্ক প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বসহ অন্য কোনো প্রচলিত পদ্ধতিতে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ আকষের্ণর উদ্যোগ নিতে পারবে। প্রয়োজনে বিধির মাধ্যমে নিধাির্রত পদ্ধতিতে ও শতের্ বস্ত্র শিল্পকে প্রণোদনা দিতে পারবে। একইসঙ্গে বস্ত্রখাতে দক্ষ জনবল সৃষ্টি, মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে বিদ্যমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, ডিপ্লোমা ও ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট, ফ্যাশন ইনস্টিটিউট, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের সুযোগ রাখা হয়েছে। কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন: দেশে ক্রমবধর্মান জনসংখ্যার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও নিমিত্ত সার, সেচ, বীজ ও উদ্যান উন্নয়ন সংক্রান্ত কৃষি উপকরণ ও যন্ত্রপাতি ইত্যাদির উৎপাদন, সংগ্রহ, মেরামত, প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিবহন, গুদামজাতকরণ এবং কৃষক পযাের্য় সরবরাহের কাযর্ক্রম অব্যাহত রাখা প্রয়োজনে সাবেক আইনটি পরিমাজর্ন, যুগোপযোগী ও হালনাগাদ করে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন আইন ২০১৮ পাস করা হয়েছে। ১৯৬১ সালে ইংরেজি ভাষায় প্রণীত ‘দি বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন অডির্ন্যান্স’ আইনটি বাংলায় রূপান্তর এবং হালনাগাদ করা হয়। এছাড়া বরেন্দ্র ও তৎসংলগ্ন এলাকার কৃষি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কতৃর্পক্ষ আইন ২০১৮ বিল পাস করা হয়। এছাড়া ১৯৯২ সালে একটি রিজলিউশন জারির মাধ্যমে গঠিত বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কতৃর্পক্ষ প্রতিষ্ঠানকে আইনি কাঠামোর মধ্যে আনা হয়। বিলের উদ্দেশ্য, কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়, ভূ-উপরিস্থ ও ভূ-গভর্স্থ পানিসম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবহার, উন্নত সেচ কাযর্ক্রম, সেচযন্ত্র বৈদ্যুতিককরণসহ প্রতিষ্ঠানের কাযর্ক্রমের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে আইনটি প্রণীত হয়।