ফিরোজ-জাহাঙ্গীর দিবস আজ

৩০ বছরেও শুরু হয়নি বিচার কাজ

প্রকাশ | ২৮ নভেম্বর ২০২০, ০০:০০

আবু সালেহ মো. মুসা, ময়মনসিংহ
শেখ ফিরোজ আহম্মেদ ও জাহাঙ্গীর আলম
গণতন্ত্র উদ্ধারে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারবিরোধী গণআন্দোলনে শহীদ ফিরোজ-জাহাঙ্গীরের মৃতু্যবার্ষিকী আজ শনিবার। ১৯৯০ সালের ২৮ নভেম্বর ময়মনসিংহের রাজপথে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান মেধাবী দুই ছাত্রনেতা শেখ ফিরোজ আহম্মেদ ও জাহাঙ্গীর আলম। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সোচ্চার ময়মনসিংহ শহরের প্রতিদিনকার মতো ওইদিন সকালে শহরের প্রাণকেন্দ্র মহাকালী গার্লস স্কুলের সামনের রাস্তায় সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে শহীদ হন এই দুই ছাত্রনেতা। ফিরোজ ছিলেন নাসিরাবাদ কলেজে বিএ ক্লাসের ছাত্র এবং বিপস্নবী ছাত্রসংঘ ময়মনসিংহ জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক। আর জাহাঙ্গীর ছিলেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এবং জাসদ ছাত্রলীগ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাখার সাধারণ সম্পাদক। গণতন্ত্র উদ্ধারের গণআন্দোলনে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে স্বৈরাচারের পতন নিশ্চিত করার আন্দোলনকে সফলতার চূড়ান্ত সীমায় নিয়ে যাওয়ার অকুতোভয় বীর দুই শহীদের হত্যাকান্ডের ৩০ বছরেও বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব হয়নি। এতে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শহীদদের স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও সহযোদ্ধারা। '৯০-এর গণআন্দোলনের ময়মনসিংহের রাজপথ কাঁপানো নেতা বর্তমানে জেলা সিপিবির সভাপতি অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক মিলস্নাত বলেন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ময়মনসিংহের এই দুই বীর শহীদ হত্যাকান্ডের বিচার না হওয়া খুবই দুঃখজনক। তিনি বিষয়টির প্রতি সরকারের সুদৃষ্টি প্রত্যাশা করেন। শহীদ ফিরোজ ও জাহাঙ্গীর স্মরণে এই দিনটিতে জাহাঙ্গীর স্মৃতি পরিষদ, জাসদ, কমিউনিস্ট পার্টি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, জেলা নাগরিক আন্দোলন, ছাত্র ইউনিয়ন ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের ছাত্রনেতাদের উদ্যোগে শহীদ ফিরোজ-জাহাঙ্গীর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।