মানুষ দুঃসময় অতিক্রম করছে :ফখরুল

প্রকাশ | ০২ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বিএনপি মহাসচিক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের মানুষ ভয়াবহ দুঃসময় অতিক্রম করছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে বন্দি রাখা হয়েছে। বিএনপির ৩৫ লাখ নেতাকর্মী মিথ্যা মামলায় আসামি। শত শত কর্মী আর সহযোগীদের হত্যা করে গুম করা হয়েছে। অনেক পরিবার অত্যন্ত অসহায় অবস্থায় জীবনযাপন করছে। শুধু বিএনপি নয়, বাংলাদেশের মানুষ ভয়াবহ অবস্থা ও দুঃসময়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। গত সোমবার রাতে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ভার্চুয়াল বিজ্ঞান মেলার 'গ' বিভাগের গ্রান্ড ফাইনাল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মোস্তফা আজিজ সুমন ও কানিতার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন সময়ের কার্যক্রম তুলে ধরেন। এই ভার্চুয়াল মেলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা. জোবায়দা রহমান উপস্থিত ছিলেন। মাসরুর চৌধুরী, রকীন হাসান প্রত্যয়, নাহিদ চৌধুরী, সাবাব তাসরিফ জামান, আবদুল মান্নান, সোহাগ সরকার, সুরাইয়া আখতার মৌসুমী, জান্নাতুল নওরীন উর্মি প্রমুখ প্রতিযোগীরা তাদের প্রণীত মডেল প্রকল্পের প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। বিচারক প্যানেলের ড. মোয়াজ্জেম হোসেন মিয়া, ড. হাসানুজ্জামান, ড. ফজলুল হক, ড. এসএম আবদুর রাজ্জাক, ড. রেজাউল করীম প্রতিযোগীদের কাছে তাদের প্রস্তাবিত প্রকল্পের বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, একদিকে যেমন বিজ্ঞান চর্চার মধ্য দিয়ে এগুতে হবে। অন্যদিকে ঠিক একইভাবে রাজনৈতিক চর্চা ও গণতান্ত্রিক চর্চার মধ্য দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। মুক্ত করতে হবে বাংলাদেশ। সৃষ্টি করতে হবে জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের সেই দেশ। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার চেতনাকে বাস্তবায়ন করতে হবে। এই রাষ্ট্রকে নির্মাণ করতে হবে। তিনি বলেন, যারা আজকে প্রজেক্ট নিয়ে এসেছো তারা আশাবাদী করেছো। আশান্বিত হয়েছি, এত কম বয়সে রাষ্ট্র নিয়ে গভীর ও চমৎকার চিন্তা করার জন্য। তোমরা দেশের ভবিষ্যৎ। সবারই আশা তোমরা একটা সুন্দর রাষ্ট্র উপহার দেবে। যুব সমাজকে রাজনৈতিক সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা যদি না থাকে তাহলে ?যতই বলি না কেন টেকসই উন্নয়ন কখনোই সম্ভব হবে না। তাই যারা তরুণ, যারা যুবক তাদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা আরও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।