রেলের প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি নিয়ে সংসদীয় কমিটির অসন্তোষ

জুরাইন রেলওয়ে ওভারপাসের উচ্চতা কম হয়েছে। ওই ওভারপাসের যে উচ্চতা তাতে হাই-কিউব কনটেইনারগুলো পরিবহণ করা যাবে না। এতে পরিবহণ ব্যয় বাড়বে। সমন্বয়হীনতার কারণে এরকম হয়েছে বলে কমিটি মনে করে

প্রকাশ | ০৩ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের প্রাক্কলন, বাস্তবায়নের মেয়াদ ও ব্যয়ের হিসাবের মধ্যে তারতম্য নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। বুধবার সংসদ ভবনে সংসদ সদস্য আব্দুস শহীদের সভাপতিত্বে কমিটির বৈঠকে রেলের গত ও চলতি অর্থবছরের প্রকল্প এবং আগের বৈঠকের সুপারিশের বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। সভা শেষে আব্দুস শহীদ বলেন, প্রকল্পের যে প্রাক্কলন করা হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা বাস্তবায়নের সময় ঠিক থাকে না। প্রাক্কলনে যে ব্যয় ধরা হয় দরপত্রে সেটার চেয়ে কম বা বেশি দেখা যায়। এটা হওয়া উচিত নয়। তাছাড়া প্রকল্প শুরু হয় মেয়াদ শুরুর অনেক পরে। দেখা যায় ২০১০ সালের প্রকল্প শুরুই হয়েছে ২০১৮ সালে। এর ফলে প্রকল্পের খরচ অনেক বেড়ে যায়; জনস্বার্থ বিঘ্নিত হয়। এ জন্য আমরা বলেছি প্রাক্কলনের চেয়ে বেশি খরচ করা যাবে না; প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো যাবে না। বিষয়টি নজরদারির জন্য সংসদীয় কমিটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, মূল্যায়ন ও পরিবীক্ষণ (আইএমইডি) বিভাগের যুগ্ম সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তার নেতৃত্বে কমিটি গঠনের সুপারিশ করেছেন বলে জানান তিনি। এদিকে বৈঠকে ঢাকা থেকে মংলা পর্যন্ত রেললাইন তৈরির পরিকল্পনায় আন্ডার পাসগুলোতে 'হাই কিউব কনটেইনার' পরিবহণের সুবিধা কেন রাখা হয়নি সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে কমিটিতে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি বলেন, জুরাইন রেলওয়ে ওভারপাসের উচ্চতা কম হয়েছে। ওই ওভারপাসের যে উচ্চতা তাতে হাই-কিউব কনটেইনারগুলো পরিবহণ করা যাবে না। এতে পরিবহণ ব্যয় বাড়বে। সমন্বয়হীনতার কারণে এরকম হয়েছে বলে আমাদের মনে হয়। এজন্য আমরা ওই বিষয়টি দেখতে বলেছি। আর ভবিষ্যতে যেসব ওভারপাস ও আন্ডারপাস নির্মাণ হবে তার উচ্চতা বা গভীরতা ঠিক রাখতে বলেছি। এছাড়া ২০০৮ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত রেললাইন, সিট, সিগনাল ব্যবস্থা এবং পস্নাটফর্মসহ রেলওয়েতে যাত্রীসেবার উন্নয়নের একটি সার্বিক প্রতিবেদন কমিটির কাছে জমা দিতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়েছে। সংসদীয় কমিটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যথাসময়ে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন এবং খরচ হ্রাস করতে, একটি বড় প্রকল্পকে পৃথক করে জমি অধিগ্রহণ ও মাটি ভরাটকে একটি প্রকল্প এবং উন্নয়ন কাজগুলোর জন্য আরেকটি প্রকল্প গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। এছড়া সড়ক পথে রেল সিগনালের স্থানগুলোতে ওভারপাস তৈরি করে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে পরিকল্পনা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। আব্দুস শহীদের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য প্রধান হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, ইউসুফ আব্দুলস্নাহ হারুন, এ বি তাজুল ইসলাম, ফজলে হোসেন বাদশা, আহসান আদেলুর রহমান, গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ এবং খাদিজাতুল আনোয়ার বৈঠকে অংশ নেন।