দন্ডাদেশের পর আসামিদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয় -যাযাদি
কেরানীগঞ্জের সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা ও কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিকুলস্নাহ চৌধুরীর হত্যা মামলায় ৭ জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার দ্রম্নত বিচার ট্রাইবু্যনাল ১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এই রায় দেন।
ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- গোলজার হোসেন, শিবু, আসিফ, তানু, টুন্ডা আমিন, ইমন ও জাহাঙ্গীর। মামলার আরেক আসামি শম্পাকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়।
চাঞ্চল্যকর এই রায়ের অপেক্ষায় সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উৎসুক মানুষ আদালতের সামনে ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন নিয়ে দাঁড়িয়ে রায়ের অপেক্ষায় ছিলেন। এ রায় পেয়ে খুশি এলাকাবাসী। অন্যদিকে রায় শোনার পর আসামির স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
মামলার বাদী ও নিহতের ছেলে কোন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদুর রহমান ফারুক চৌধুরী বলেন, তিনি রায়ে সন্তুষ্ট। যত দ্রম্নত সম্ভব এর বাস্তবায়ন আশা করছেন।
উলেস্নখ্য, ২০১৩ সালের ১০ ডিসেম্বর নিখোঁজ হন আতিকুলস্নাহ চৌধুরী। পরদিন ১১ ডিসেম্বর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের দোলেশ্বর এলাকার একটি হাসপাতালের পাশ থেকে তার আগুনে পোড়া বিকৃত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তার সঙ্গে থাকা কাগজ ও এটিএম কার্ড দেখে লাশ শনাক্ত করেন নিহতের ছেলে।
আট আসামির মধ্যে ইমন, জাহাঙ্গীর ও শম্পা জেলখানায় থাকলেও মামলার প্রধান আসামি গোলজার, শিবু, আসিফ, তানু ও টুন্ডা আমিন পলাতক রয়েছেন।
