শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে অভিযোগ নয়, আলোচনায় সমাধান বীর বাহাদুর উশৈসিং

ম যাযাদি রিপোর্ট
  ০৩ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০

পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে কোনো সমস্যা হলে অভিযোগ না করে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার আহ্বান জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। তিনি বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য শান্তি এবং উন্নয়ন।

আমরা যারা শান্তি চাই, হাতে হাত লাগিয়ে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছি। পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে অভিযোগ বা দোষারোপ নয়, কোন জায়গায় বাঁধা আছে এবং সমস্যা হলে কীভাবে সমাধান করা যায়, সেটি দেখতে হবে। এজন্য একটি কমিটিও আছে। এ ধরনের সমস্যা হলে কমিটি কীভাবে দ্রম্নত সমাধান করতে পারে সেটি দেখবে। সমস্যা যেমন আছে সমাধানও আছে।

বুধবার পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির ২৩তম বর্ষপূর্তিতে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, শান্তি চুক্তিতে ৭২টি ধারা ছিল, তার মধ্যে ৪৮টি ধারা পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন হয়েছে। ১৫টি ধারা আংশিক হয়েছে, আর ৯টি ধারা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ভূমি। ২০১৭ সালে সংশোধিত আকারে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ভূমি কমিশন আইন পাস করা হয়েছে। ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করার কাজটি করতে কয়েকবার চেয়ারম্যান পরিবর্তন করতে হয়েছে। এরইমধ্যে কাজ চলছে। এত ভূমি নিষ্পত্তির জন্য কিছু বিধি বিধান, আইন কানুনের বিষয় আছে। ভূমি মন্ত্রণালয় এটি নিয়ে কাজ করছে।'

তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালে ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার পর থেকে অশান্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

অঞ্চলভিত্তিক পরিকল্পনার মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য ১৯৭৩ সনেই বঙ্গবন্ধু একটি আলাদা বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন, যা তৎকালীন ভূমি প্রশাসন ও ভূমি সংস্কার মন্ত্রী আব্দুর রব সেরনিয়াবাত রাঙামাটি সার্কিট হাউজে সমাবেশে ১৯৭৩ সালের ৯ আগস্ট ঘোষণা দিয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১২ ফেব্রম্নয়ারি রাঙামাটির বিশাল জনসভায় বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেছিলেন জাতীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার অবশ্যই রক্ষা করা হবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুই প্রথমবারের মতো পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী ছাত্র-ছাত্রীদের মেডিক্যাল, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোটার সুযোগ করে দেন। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে তার সমাজভিত্তিক সুযোগ সৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধুর সরকার ১৯৭২ সালের সেপ্টেম্বরে কোটাভিত্তিক পদ সংরক্ষণের নীতিমালা সমর্থন করেন। সেখানে আদিবাসীদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা নির্ধারিত হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে