ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দেওয়ার গুরুদায়িত্ব নিয়েছি : মেয়র তাপস

প্রকাশ | ০৩ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০

ম যাযাদি রিপোর্ট
ঢাকা দক্ষিন সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, দীর্ঘ ৩২ বছর পর আমরা ঢাকা শহরের সব খাল-জলাশয়ের দায়িত্ব্ব নিয়েছি। ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করতে এটি আমাদের ওপর গুরুদায়িত্ব। সেই লক্ষ্যে ১ ডিসেম্বর থেকেই কার্যক্রম আরম্ভ করেছি। বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ঢাকা সিটি ইউনিটের বার্ষিক সাধারণ সভা-২০২০ ও ২০২১-২৩ মেয়াদে ইউনিট কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তাপস। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ঢাকা সিটি ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক লায়ন শরিফ খানের সঞ্চালনায় সোসাইটির আজীবন সদস্যরা বক্তব্য রাখেন। শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায় ১১টি খাল পুনরুদ্ধার, বর্জ্য দ্বারা যেগুলো বদ্ধ হয়ে গেছে সেগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করাসহ আমরা সেখানে নান্দনিক পরিবেশ কিভাবে সৃষ্টি করা যায়, বিনোদনমূলক পরিবেশ কিভাবে সৃষ্টি করা যায়, আমাদের ছেলেমেয়েরা, ঢাকাবাসী যেন সাইকেল চালিয়ে-হেঁটে সেখানে ঘুরে বেড়াতে পারে, আমরা সেরকম ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। সারা বছরই মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম চলমান রাখার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, যেকোনো সময়ের চেয়ে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম অত্যন্ত বেগবান করেছি। ফলে এ বছর ডেঙ্গুর কারণে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। শেখ তাপস বলেন, আমরা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ঢাকা সিটি ইউনিটের কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে চাই। কিন্তু অর্থায়নের অভাবে অনেক কার্যক্রম আমরা নিতে পারেনি। সেজন্য যারা আর্ত-মানবতার সেবায় নিবেদিত হতে চান, আমি তাদের সবার প্রতি নিবেদন করব, আপনাদের যেকোনো দান-অনুদান রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিকে প্রদান করুন। কারণ, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জনগণের কাছ থেকে যে অর্থ পেয়ে থাকে তা সম্পূর্ণরূপে আর্ত-মানবতার সেবায়, মানুষের দুর্যোগে ব্যয় করা হয়। ঢাকা জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের আজীবন সদস্য সংখ্যা ও কার্যক্রম বৃদ্ধির পরিকল্পনা জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, আগামী বছরের মধ্যে এই সংখ্যা পাঁচ হাজারের নিয়ে যেতে চাই এবং আমাদের কার্যক্রম বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে আমরা বাজেট তিনগুণ করেছি। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ঢাকা সিটি ইউনিটের কার্যক্রম বেগবান করার লক্ষ্যে মধুমতি ব্যাংক লিমিটেডের সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল হতে ১২ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়।