জিয়ার নামফলক পরিবর্তনের পরিণতি শুভ হবে না : গয়েশ্বর

প্রকাশ | ০৩ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে 'জিয়ার নামফলক' পরিবর্তনের পরিণতি শুভ হবে না বলে সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছেড়ে দেন। স্বেচ্ছায় যদি জনগণের কাছে ক্ষমতা ছাড়েন তাহলে মান-ইজ্জত বাঁচবে। আর জনগণ যদি ক্ষমতা থেকে নামায় তাহলে মান-ইজ্জত-অর্থ-বিত্ত সবই হারাবেন। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে পুরান ঢাকার মোগলটুলিতে জিয়াউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করার প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েলের পরিচালনায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সরকারকে হুঁশিয়ার করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জিয়ার নামফলক পরিবর্তনের পরিণতি শুভ হবে না। জিয়াউর রহমান একটি ইতিহাস। একটি যুদ্ধের ইতিহাসের মধ্য দিয়ে, রক্ত বিসর্জন দিয়ে, জীবন দিয়ে এদেশ সৃষ্টি হয়েছে। যাদের রক্তে লেখা এই স্বাধীনতা, তাদের রক্তকে অপমান করার দুঃসাহস দেখাবেন না। তাই এ অপকর্মের সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনা থেকে সরে যান। সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রতিহিংসা বাদ দেন। কম তো খান নাই, অনেক খাইছেন। এগুলো শেষ করতে যতটুকু হায়াত দরকার, সেই হায়াত নাই আপনাদের। রাষ্ট্রের টাকা খরচ করে যত স্মৃতিসৌধ, কত কিছু বানাচ্ছেন। সেগুলো রক্ষার স্বার্থে হলেও ইতিহাসে হাত দেবেন না। যে যেখানে আছে রাজনৈতিক কারণে, ঐতিহাসিক কারণেই তাদেরকে থাকতে দিন, তাদের নাম রাখতে দিন। মানুষের হূদয়ে আঘাত করলে সেই আঘাতের পাল্টা আঘাত আসবে তখন কোনো ক্ষমতায়ই টিকিয়ে রাখতে পারবে না। যেদিন ক্ষমতার পরিবর্তন হবে, সেদিন যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে সেটা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা আপনাদের থাকবে না- এই কথাটা ভাবেন। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জিয়াউর রহমান কোনো সম্পদ রেখে যান নাই। দেশে খালেদা জিয়ার চেয়ে আর গরিব কেউ নাই। নিজের একটা বাড়ি নাই। ভাড়া বাড়িতে থাকেন। প্রায়ই ভাড়া পরিশোধের নোটিশ পান। দুর্নীতি দমন কমিশন খালেদা জিয়ার সম্পদের বৈধ সার্টিফিকেট দিয়েছে। তারপরও তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। তিনি ৫০ হাজার টাকার বেশি তুলতে পারেন না। ঢাকা শহরে একজন নেত্রীর ৫০ হাজার টাকায় কিভাবে চলে, কিভাবে তার চিকিৎসা চলে?