শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে স্মৃতিস্তম্ভ

মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহঙ্কার। ১৯৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধে লাখো বাঙালি অকাতরে প্রাণ বিলিয়েছে দেশের জন্য। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে লড়াই করতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন অনেকেই। তাদের কেউ আমাদের চেনা, কেউবা অচেনা। বাঙালির শ্রেষ্ঠ এই সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা উজ্জীবিত রাখতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নির্মিত হয়েছে ভাস্কর্য ও স্মৃতিফলক। এছাড়া প্রতিটি এলাকায় ছড়িয়ে আছে বধ্যভূমি।
আবেদুল হাফিজ
  ০৪ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০
রংপুরের নিসবেতগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ 'রক্তগৌরব'

কালেরসাক্ষী রংপুরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামে স্মৃতিস্তম্ভটি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। এছাড়া অপর একটি স্মৃতিস্তম্ভের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। ৫টির দরপত্র আহ্বান করা হলেও এখনো কাজ শুরু হয়নি।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সূত্র জানায়, তিনটি বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয়েছে। এর মধ্যে তৎকালীন রংপুর পৌরসভা কর্তৃক নগরীর মডার্ন মোড়ে 'অর্জন', রংপুর ক্যান্টনমেন্টের পশ্চিম সীমানায় ঘাঘট নদীর তীরে সেনাবাহিনী কর্তৃক নিসবেতগঞ্জে 'রক্তগৌরব' ও সরকারি খরচে বদরগঞ্জের রামনাথপুর ইউনিয়নের ঝাড়ুয়ারবিল এলাকায়। এছাড়াও রংপুর টাউন হল এলাকার বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। সরকারি অর্থায়নে রংপুর সদর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর তা বাস্তবায়ন করছে।

এদিকে, রংপুর নগরীর সুরভী উদ্যানের ভেতরে ৩৭ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নামে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। ওই স্মৃতিস্তম্ভে রংপুর নগরীর ১৬ জন, বদরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানের ৬ জন, গঙ্গাচড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ৫ জন, মিঠাপুকুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানের ৫ জন, পীরগাছা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৪ জন ও কাউনিয়া উপজেলার হরিচর এলাকায় একজনের নাম রয়েছেন।

অন্যদিকে, রংপুর নগরীর তালুকধর্মদাস এলাকার দমদমা, নিসবেতগঞ্জের পীরজাবাদ পৃথক এলাকায় দুটি, নিসবেতগঞ্জ বালারখাল, রংপুর সদরের লাহেড়ীরহাট সাবাজপুর ও নগরীর সাহেবগঞ্জ বাহারকাচনা বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনে দরপত্র আহ্বান করেছে গণপূর্ত বিভাগ। কিন্তু এখন পর্যন্ত এসব বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি।

রংপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও গণপূর্ত সূত্র জানায়, গণপূর্ত বিভাগ রংপুর জেলার ৫টি স্থানে বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য গত বছর দরপত্র কার্যক্রম শেষ করে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জমি জটিলতার কারণে এখনো তা শুরু করা যায়নি।

সাহেবগঞ্জ কাচনা বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কাজ পেয়েছেন ঠিকাদার আলী আহমেদ চান্দ। তিনি যায়যায়দিনকে জানান, জমি জটিলতার কারণে এখনো সেখানকার বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কাজ শুরু করতে পারেননি। সাহেবগঞ্জ কাচনা বধ্যভূমির মতো জমি জটিলতায় পড়েছে নিসবেতগঞ্জের তিনটি বধ্যভূমি। তবে লাহেড়ীরহাট বধ্যভূমিতে জমি জটিলতা না থাকলেও এখনো কাজ শুরু করতে পারিনি। তিনি জমি জটিলতা দূর করে দ্রম্নত নির্মাণ কাজ শুরু করার দাবি জানান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে