মাস্ক পরা নিয়ে আরও কঠোর অবস্থানে ডবিস্নউএইচও

প্রকাশ | ০৪ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
মহামারি করোনাভাইরাসের থাবা থেকে বাঁচতে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা নিয়ে আরও কড়া নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিস্নউএইচও)। নতুন এ নির্দেশনায় কোভিড-১৯ সংক্রমণের বিস্তার ঘটে চলা এলাকাগুলোর স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের প্রত্যেকেরই মাস্ক পরা এবং ভালো বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা নেই এমন ঘরেও অবশ্যই মাস্ক পরতে বলা হয়েছে। বুধবার ডবিস্নউএইচও এ নির্দেশনা জারি করেছে। সংবাদসূত্র : বিবিসি, আল-জাজিরা এর আগে গত জুনে ডবিস্নউএইচও নানা দেশের সরকারের কাছে জনগণকে জনসমাগমপূর্ণ এলাকা সেটা ঘরের ভেতর হোক বা বাইরে- ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়া এড়াতে সব সময় কাপড়ের মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়ার অনুরোধ করেছিল। কিন্তু সে অনুরোধ যে সরকার বা জনগণ খুব একটা আমলে নেয়নি তার প্রমাণ মহামারির বর্তমান পরিস্থিতি। জুনের পর প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ?শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ৬ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি মানুষের এ রোগ শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছে ১৪ লাখেরও বেশি মানুষ। বুধবার ডবিস্নউএইচওর নির্দেশনায় বলা হয়, যেখানে মহামারির বিস্তার ঘটছে সেখানে দোকান, কাজের জায়গায় বা স্কুলের মতো বদ্ধ কক্ষে এমনকি শিশু-কিশোরদেরও সব সময় মাস্ক পরিয়ে রাখা উচিত। বাড়িতে বদ্ধ কক্ষে কারও সঙ্গে দেখা করার সময়ও মাস্ক পরতে হবে। বাইরে সব সময় মাস্ক পরতে হবে এবং বাতাস চলাচলের খুব ভালো ব্যবস্থা আছে এমন কক্ষ হলেও তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব না হলে, সেখানেও অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। এছাড়া যেখানে কোভিড-১৯ এর বিস্তার ঘটেছে সেখানে সব ধরনের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে সবাইকে মেডিকেল মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। এমনকি অন্য রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার সময়ও মাস্ক পরতে হবে। রোগীর দর্শনার্থীদের, বহির্বিভাগের রোগীদের এবং ক্যাফেটেরিয়া ও স্টাফরুমের মতো হাসপাতালের কমন এলাকায়ও একই দিকনির্দেশনা মেনে চলতে হবে। কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের সেবা দেওয়ার সময় স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের সম্ভব হলে এন-৯৫ মাস্ক পরতে হবে। তবে শারীরিক কসরত করার সময় মাস্ক ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে ডবিস্নউএইচও। বিশেষ করে যাদের হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা আছে। এক্ষেত্রে অবশ্যই নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।