শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজত নেতা আব্দুর রহিম কাসেমীকে মাদ্রাসা থেকে অব্যাহতি

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  ০৫ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়ার মাদরাসার শিক্ষক ও হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা মাওলানা আব্দুর রহিম কাসেমীকে মাদরাসা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

তিনি হেফাজতে ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটিরও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। মাদরাসা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামে ভাঙন দেখা দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গতকাল শুক্রবার জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়ার মাদরাসা থেকে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে পাঠানো মাদরাসার মোহতামিম (অধ্যক্ষ) মুফতি মাওলানা মুরাবকুলস্নাহ স্বাক্ষরিত মাদরাসার সভার কার্যবিবরণীতে মাওলানা আব্দুর রহিম কাসেমীকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা জানানো হয়।

মাদরাসার কার্যবিবরণীতে গত ১ ডিসেম্বর মাদরাসার সভায় ওই শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয় বলে জানানো হয়।

মাদরাসার সভার কার্যবিবরণী থেকে জানা গেছে, মাওলানা আব্দুর রহিম কাসেমীর বিরুদ্ধে এক ব্যক্তিকে নারী সাজিয়ে মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষকদেরকে বস্ন্যাকমেইলিং করাসহ বেশ কিছু অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি ওই শিক্ষক যেন মাদরাসার নাম ব্যবহার করতে না পারেন সেদিকে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।

এ ব্যাপারে হেফাজতের নেতারা বলছেন,

'বিষয়টি সম্পূর্ণ মাদরাসার অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এর সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই। তবে জামিয়ার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে হেফাজতকে অবহিত করা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়ার মাদরাসার মোহতামিম (অধ্যক্ষ) মুবারকুলস্নাহ স্বাক্ষরিত কার্যবিররণীতে বলা হয়, মাওলানা আব্দুর রহিম গত ১২ নভেম্বর পরিকল্পিতভাবে মাদরাসা ছাত্রদের ভুল বুঝিয়ে বিক্ষোভ করান। জামিয়ার সিনিয়রদেরকে তিনি তোয়াক্কা করেন না। নিজের সহযোগী আব্দুল কুদ্দুসকে নারী সাজিয়ে মাদরাসার মুরব্বিদের বস্ন্যাকমেইলিং করার চেষ্টা করেন। আব্দুল কুদ্দুছ বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হেফাজতে ইসলামের নেতা মুফতি এনামুল হাসান বলেন, 'মাদরাসার অভ্যন্তরীণ কারণে ওই শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে হেফাজতের কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই। তবে মাদরাসার পক্ষ থেকে জানানো হলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

এ ব্যাপারে গতকাল শুক্রবার বিকালে মাওলানা আবদুর রহিম কাসেমীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তাকে বরখাস্তের কাগজ তিনি এখনো পাননি। কাগজপত্র না দেখে তিনি কোনো বক্তব্য দিবেন না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে