যশোরে আ’লীগ নেতার পুত্রবধূর মৃত্যু, হাসপাতাল ভাঙচুর

প্রকাশ | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যশোর প্রতিনিধি
পিংকি দেবনাথ
যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার দেবনাথের পুত্রবধূ সদ্য মা হওয়া পিংকি দেবনাথ (৩০) ‘ভুল চিকিৎসায়’ মারা গেছেন বলে স্বজনরা অভিযোগ করেছেন। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পরে যশোরের কুইন্স হাসপাতালে ডাক্তারের তত্ত¡াবধানে থাকা এই প্রসূতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ স্বজনরা হাসপাতালে ভাঙচুর করেছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পিংকির স্বামীর নাম পাথর্ প্রতীম দেবনাথ রতি। প্রায় আট বছর আগে তাদের বিয়ে হয়েছিল। রতির ভাই রানানাথ জানান, রতি-পিংকি দম্পতির ঘরে সন্তান আসছিল না। অনেক চিকিৎসার পর পিংকি গভর্ধারণ করেন। তিনি গাইনি চিকিৎসক জাকির হোসেনের তত্ত¡াবধানে ছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ডাক্তার জাকিরের তত্ত¡াবধানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পিংকি একটি মেয়েসন্তানের জন্ম দেন। সন্ধ্যায় ডা. জাকির প্রসূতির জন্য ‘ওমেপ’ নামে একটি ইনজেকশন লেখেন। রাত ৯টার দিকে হাসপাতালের নাসর্ জেসমিন ওই ইনজেকশনটি প্রসূতির শরীরে পুশ করেন। এর কিছু সময়ের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন পিংকি। সদ্যজাত শিশুটি সুস্থ আছে। ডাক্তার জাকির দাবি করছেন, রোগীর স্বজনরা পাশের একটি ফামেির্স থেকে ‘ওমিজিড’ নামে ইনজেকশন কেনেন; যেটি ছিল ভেজাল। এই ‘ভেজাল’ ইনজেকশন পুশ করার কারণে প্রসূতির মৃত্যু হতে পারে। এদিকে, মোহিত নাথের পুত্রবধূর অপমৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বহু লোক চড়াও হয় কুইন্স হাসপাতালে। তারা হাসপাতালটির সপ্তম তলায় উঠে আসবাবপত্র তছনছ করে। ভেঙে ফেলে জানালার গøাস। প্রত্যক্ষদশীের্দর ভাষ্য, হামলার সময় রোগী ও তাদের স্বজনরা আতঙ্কে ছোটাছুটি করতে থাকেন। হাসপাতালে অবস্থানরত ডাক্তার, নাসর্ ও কমর্চারীরা পালিয়ে যান। যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি তদন্ত আবুল বাশার মিয়া জানান, খবর পেয়ে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কুইন্স হাসপাতালের ব্যবস্থাপক মিঠু সাহা দাবি করেন, লোকজন উত্তেজিত হয়ে সামান্য ভাঙচুর করেছে। তবে ভুক্তভোগীদের কেউ ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত না। তৃতীয় পক্ষ এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত।