শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সৈকতের বালিয়াড়িতে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য

কক্সবাজার প্রতিনিধি
  ১৬ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে নির্মিত বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বালু ভাস্কর্য -যাযাদি

বালুকাময় কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্টে নির্মিত হয়েছে মুজিববর্ষ ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ দৃষ্টিনন্দন বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক বালু ভাস্কর্য। ভাস্কর কামরুল হাসান শিপনের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালরে চারুকলা বিভাগের ১০ জন সাবেক শিক্ষার্থী এ ভাস্কর্য নির্মাণ করেছেন। এটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৮ লাখ টাকা।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভাস্কর্য নির্মাণে সার্বিক সহযোগিতা করছে 'ব্র্যান্ডিং কক্সবাজার' নামে একটি সংগঠন। 'সময়ের চেয়ে বিশাল তুমি' প্রতিপাদ্য নিয়ে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে বেলা ১১টায় কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্টে এ বালু ভাস্কর্য উদ্বোধন করা হবে। এ ভাস্কর্য স্থায়ী হবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

ভাস্কর কামরুল হাসান শিপন বলেন, দেশের মানুষের কাছে পৃথিবীর সেরা নেতা বঙ্গবন্ধু। দেশের মানুষকে দেখানোর উদ্দেশ্যেই আমাদের বালু ভাস্কর্য নির্মাণ। ৪

\হএযাবৎকালের বাংলাদেশে যত বালুর ভাস্কর্য নির্মাণ হযেেছ তার মধ্যে এটি সবচেয়ে বড়। এটি নির্মাণে সময় লেগেছে প্রায় ১ সপ্তাহ। প্রায় ছয় ফুট উচ্চতা ও ১৪ ফুট প্রস্থের ভাস্কর্যটি।

ভাস্কর্যের আয়োজক ইশতিয়াক আহমেদ জয় জানান, বিজয়ের মাসে দেশের টানে কক্সবাজারসহ দেশের মানুষকে আবারও জানাতে চাই, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। বিশেষ করে ধর্মান্ধ এবং উগ্রবাদীদের কাছে একটি বার্তা পৌঁছে দিতে চাই, তারা যেন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য গুঁড়িয়ে দেওয়া কিংবা অপসারণের মতো ধৃষ্টতা না দেখায়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু থাকবে মানুষের হূদয়ে। সৈকতে বঙ্গবন্ধুর বালুর ভাস্কর্য নির্মাণ করে বঙ্গবন্ধুর চেতনা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই।

ঢাকার পর্যটক দম্পতি কায়সার ও সুমাইয়া জানান, এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ এবং অভিনব প্রতিবাদ। নতুন প্রজন্মের অনেকেই মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ভুলতে বসেছে। এ ধরনের উদ্যোগের মধ্য দিয়েই মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ সম্পর্কে জাতিকে জানাতে হবে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন জানান, জাতির পিতার ভাস্কর্য অবমাননার প্রতিবাদস্বরূপ এই সৃষ্টিশীল আয়োজন। এটা হচ্ছে আমাদের একটি বড় প্রতিবাদ। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য সারা বাংলাদেশে থাকবে এবং সারা পৃথিবীতে থাকবে। আমরা কক্সবাজারের দীর্ঘ বালুকাময় সমুদ্রসৈকতে বালুর ভাস্কর্য নির্মাণ করেই সেই চেতনা ছড়িয়ে দিতে চাই।

তিনি আরও বলেন, কুষ্টিয়ায় ভাস্কর্যে হামলার প্রতিবাদ এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে নির্মিত হচ্ছে এটি। পৃথিবী যতদিন আছে ততদিন জাতির পিতার অস্তিত্ব থাকবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে