সোনাতলা উপজেলা পরিষদের আবাসিক ভবনগুলো ঝুঁকিপূণর্

প্রকাশ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

সোনাতলা (বগুড়া) সংবাদদাতা
বগুড়া সোনাতলা উপজেলা পরিষদের আবাসিক ভবনগুলো মাত্র ৩৫ বছরে জরাজীণর্ ভবনে পরিণত হয়েছে। অপরদিকে চলতি অথর্বছরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও’র পাল্টাপাল্টি অবস্থানে ফেরত গেছে সংস্কারের ২৫ লাখ টাকা। ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ওই উপজেলাটি। সেই সময় বাংলাদেশের প্রধান প্রধান নদীগুলোর নামে প্রতিষ্ঠিত হয় উপজেলা পরিষদের আবাসিক ভবনগুলো। সেখানে অবস্থিত ১০টি কোয়াটাের্রর মধ্যে ১টি পরিত্যক্ত অবশিষ্ট ৯টি কোয়াটাের্র ঝুঁকিপূণর্ভাবে বসবাস করতে হচ্ছে কমর্কতার্ ও কমর্চারীদের। প্রতিষ্ঠার মাত্র ৩৫ বছরের মাথায় ভবনগুলো ঝুঁকিপূণর্ ও জরাজীণর্ ভবনে পরিণত হয়েছে। উপজেলা পরিষদসংলগ্ন ইউএনও কোয়াটার্র পদ্মা। একমাত্র সেই কোয়াটার্রটি বসবাসের উপযোগী হলেও অবশিষ্ট করতোয়া, কণর্ফুলী, মেঘনা, মধুমতি, ইছামতি, কপোতাক্ষ, সুরমা, মহানন্দা নামের ভবনগুলো ঝুঁকিপূণর্। প্রতিটি কোয়াটাের্র ৪টি করে পরিবার বসবাস করে। প্রতি বছর সরকার ওই কোয়াটার্রগুলো থেকে ৮ থেকে সাড়ে ৮ লাখ টাকা রাজস্ব আয় করে। গত অথর্বছরে কোয়াটার্র ভাড়া বাবদ উপজেলা পরিষদের রাজস্ব তহবিলে সাড়ে ৮ লাখ টাকা জমা হয়েছে। প্রতি বছর মোটা অংকের টাকা আয় হলেও ভবনগুলো সংস্কারে পযার্প্ত অথর্ বরাদ্দ না দেয়ায় দিনের পর দিন লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে নিমির্ত আবাসিক ভবনগুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। আবাসিক ভবনে বসবাসকারী উপজেলা পরিষদের কমর্কতার্ ও কমর্চারীরা জানান, প্রতিটি মুহূতের্ স্ত্রী-পুত্র-কন্যা নিয়ে জরাজীণর্ ভবনে টেনশনে বসবাস করতে হয়। কখন যেন জরাজীণর্ ভবনগুলো ধসে পড়ে প্রাণহানি ঘটে। এ ছাড়াও ঘনঘন ভ‚মিকম্পে আতঙ্কিত থাকতে হয় তাদের। উপজেলা নিবার্হী কমর্কতার্ মো. শফিকুর আলম জানান, আবাসিক ভবনগুলো সংস্কারে যে পরিমাণ বরাদ্দ পাওয়া যায় তা অপযার্প্ত। ভবনগুলো রাজস্ব তহবিল থেকে সংস্কার করা হয়। যার পরিমাণ ৭ লাখ টাকা। এ ছাড়াও ২৫ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত যাওয়ার বিষয়টি তিনি স্বীকার করে বলেন, ফাইল অনুমোদন না হওয়ায় সরকারি টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত গেছে। তিনি আরও জানান, নতুন কোয়াটার্র তৈরির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম আহসানুল তৈয়ব জাকির জানান, উপজেলা পরিষদের আবাসিক ভবনগুলো সংস্কারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ চেয়ে প্রস্তাবনা পাঠালে মন্ত্রণালয় ২০১৭-১৮ অথর্বছরে আবাসিক ভবনগুলো সংস্কারে ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। বরাদ্দ পাওয়ার পর টেন্ডারের প্রস্তাব দেয়া হলে ইউএনও তা প্রত্যাখ্যান করে কোটেশনের মাধ্যমে কাজ করার প্রস্তাব দেন। এ ছাড়াও ইউএনও’র কোয়াটার্র পদ্মা সংস্কারে ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ চেয়ে বসেন এবং সেই টাকার কাজ নিজে করার প্রস্তাব দিলে আমি তা প্রত্যাখ্যান করি।