কোটা আন্দোলনের নেতা সুহেলকে হত্যার হুমকি

প্রকাশ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০ | আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:১৬

যাযাদি রিপোটর্
কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা ও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম আহŸায়ক এপিএম সুহেলকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। বেনামি ফেসবুক আইডি থেকে সুহেলের পোস্টের নিচে এবং ইনবক্সে এ হুমকি দেয়া হয়। রোববার সোনালী ব্যাংকে কোটায় বিশেষ নিয়োগের এক বিজ্ঞপ্তি নিয়ে সমালোচনার পর সুহেলসহ অন্য নেতাদেরকে হুমকি দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে সুহেলকে হত্যা করে তার লাশ এক হাজার টুকরা করার হুমকিকে অত্যন্ত গুরুতর হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে কোটা আন্দোলনের নেতাদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা এপিএম সুহেলের ফেসবুক পোস্টের নিচে ‘উরু পাখি উরাল দিয়ে যা যা’ নামের এক ভুয়া আইডি থেকে একাধিকবার হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। এসব হুমকির মধ্যে এক মন্তব্যে লেখা হয়েছে, ‘তোকে মেরে তোর লাশ ১০০০ টুকরা করা হবে। রেডি থাক রবিবার।’ অন্য নেতাদেরকেও ফেসবুকের ইনবক্স বা মন্তব্যের স্থানে গিয়ে এমন হুমকিধমকি দেয়া হচ্ছে বলে অন্যরাও অভিযোগ করেছে। তবে এ বিষয়ে হুমকি প্রাপ্তরা প্রকাশ্যে কথা বলতে অস্বীকার করেছেন। তাদের ভাষায়, পত্রিকায় নাম প্রকাশ হলেই তাকে টাগের্ট করা হচ্ছে। এমনকি পরিবারকেও হুমকি দেয়া হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শতের্ কোটা সংস্কার আন্দোলনের একজন নেতা যায়যায়দিনকে বলেন, ‘হুমকি আগেও দেয়া হয়েছে। কিন্তু হত্যা করে লাশ ১০০০ হাজার টুকরা করা হবে, এটি কোনো সাধারণ হুমকি নয়। তারপরও আমরা এ বিষয়ে কারো কাছে সাহায্য চাইতে পারছি না। একচোখা প্রশাসন এগুলো দেখে না। কয়েক দিন আগে সরকারের একজন প্রভাবশালী উপদেষ্টা নামে বেনামে ভুয়া আইডি খুলে তৎপরতা চালাতে বলেছেন। তা নিয়ে সংবাদ মাধ্যম নিউজও করেছে। আমরা জানি এসব হুমকিধমকি কারা দিচ্ছে। কিন্তু কার কাছে অভিযোগ করব? রাশেদ ভাইয়ের আব্বাকে একটি ছাত্র সংগঠনের নেতা যখন প্রকাশ্য হুমকি দেয় তখন থানায় জিডি করতে গিয়েও হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে আমাদেরকে। এপিএম সুহেল কেন আমাদের প্রধান নেতাকেও হত্যা করা হলে আমরা কোনো অভিযোগ করতে পারব না। কিন্তু আমরা না বললেও মিথ্যা অভিযোগ এনে আমাদের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা দেয়া হচ্ছে। রিমান্ডে নেয়া হচ্ছে। নিযার্তন করা হচ্ছে। এটাই হলো বাস্তবতা।’