নড়িয়ার জন্য ১২০০ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তুত

প্রকাশ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০ | আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:১৮

যাযাদি রিপোটর্
ভয়াবহ নদীভাঙনের শিকার শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলাকে বিপযর্য় থেকে রক্ষায় ইতিমধ্যে সাত-আট কোটি টাকার কাজ হয়েছে। আরও ১২০০ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। সোমবার জাতীয় সংসদে পানিসম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর পক্ষে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা জানান। গত কয়েক দিন ধরে শরীয়তপুরের নড়িয়ায় পদ্মা নদীর ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে গ্রামের পর গ্রাম বিলীন হয়ে যাচ্ছে নদীতে। কয়েক হাজার পরিবার সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। সোমবার জাতীয় সংসদে মাদারীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য নূর-ই আলম চৌধুরী প্রশ্ন করেন, নড়িয়ায় প্রকল্প পাস করার পর কাজ শুরু করতে নয় মাস দেরি হলো কেন? জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা দুভার্গ্যজনক যে, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প গ্রহণ করার প্রক্রিয়া এবং বাস্তবায়নে যাওয়ার প্রক্রিয়া অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের কাজের চেয়ে একটু ভিন্নতর। তিনি বলেন, দুঃখজনক এজন্য বলছি, অনেক সময় কাজ শুরু করার যে সময়টা লাগে সেই সময়টা কমবেশি করা যায় না। কারণ একটা প্রকল্প ক্যানসেল করা যায় না, ক্যানসেল করতে গেলে বিশদভাবে জরিপের প্রয়োজন হয়। পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদীর পানির নিচের কাজ, আমরা অনেকেই উপর থেকে দেখতে পারি না, বিষয়টা অনেকটা টেকনিক্যাল এবং ভিন্নতর। আমরা আগে বুঝতে পারি নাই। নিজের অভিজ্ঞতার বণর্না দিয়ে তিনি বলেন, আমি এই মন্ত্রণালয়ে সাড়ে চার বছর ধরে কাজ করছি। যোগদানের পর থেকে এক বছর সময় আমিও খুবই সোজাসাপটা চিন্তা করতাম এবং টেকনিক্যালটা বুঝতাম না। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা দুঃখজনক যে, প্রতি বছরই আমাদের নদীগুলাতে ভাঙন দেখা দেয়। বাড়িঘর বিলীন হয়ে যায়, ধনসম্পদ বিলীন হয়ে যায় এবং প্রচুর মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত এবং বাস্তুহীন হয়। নড়িয়ার ভাঙন সম্পকের্ সরকার অবগত এবং ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, নড়িয়াতে ইতিমধ্যে আমার ধারণা সাত-আট কোটি টাকার কাজ হয়েছে। আরও ১২০০ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তুত রয়েছে। বিভিন্ন পযাের্য় যে কাজগুলো শটর্কাট করার উপায় ছিল না, নিয়োগ এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কনসিডারিংগুলো পুরোপুরি করে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে। নজরুল ইসলাম বলেন, এই ব্যাপারে আমি মনে করি বতর্মান সরকার যেমন ইনসেনসেটিভ নয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ও ইনসেনসেটিভ নয়। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। তিনি সংসদকে জানান, প্রতি বছর যেসব ভাঙন দেখা যায়, ভাঙনের ক্ষতি কমিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করা হয়। ইমারজেন্সি কাজ করার জন্য সামথর্্য অনুযায়ী নতুন কাজে হাত দেয়া হয়। ইতিমধ্যে কাজের দায়িত্বও দেয়া হয়েছে খুলনা শিপিয়াডের্ক। তারা দ্রæত কাজটি করবে।