আইএফএম কৃষি সংগঠনের মাধ্যমে ঘুরে দঁাড়িয়েছে লাখাইর কৃষকরা

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

মহসিন সাদেক, লাখাই
খাদ্যশষ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে অনন্য উদহারন। উন্নয়নশীল দেশে উন্নিত হওয়ার প্রধান সহায়ক কৃষির সফল অগ্রগতি। এজন্য প্রয়োজন অল্প জমিতে বেশী খাদ্য উৎপাদনের জন্য সহায়ক প্রশিক্ষন লব্দ জ্ঞান অজর্ন, কৃষি সমস্যাদির জন্য সঠিক তথ্যাবধান ও কৃষি সমস্যদির সঠিক সমাধান। কৃষিভান্ডারখ্যাত লাখাইয়ে শষ্য ও বিভিন্ন ধরনের সবজিসহ কৃষকের অথৈর্নতিক উন্নয়ন ও স্বালম্বী হতে বিরাট ভুমিকার রাখছে আইএফএম কৃষক সংগঠন। ২০১৬ সাল থেকে এ সংগঠনের মাধ্যেমে অভুতপুবর্ উন্নয়ন সাধারণ করছে উপজেলার পুবর্ সিংহগ্রামের কৃষকরা। শুরুতে ৫০জন কৃষান- কৃষাণীর সমন্বয়ে উপজেলার পুবর্ সিংহগ্রামে গঠন করা হয় কৃষক স্কুল। এই স্কুলের মাধ্যেমে কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন প্রশিক্ষন অংশ গ্রহন করেন তারা। এক সময় ৩৫ জন কৃষক ও কৃষাণী সফলভাবে প্রশিক্ষন শেষে গঠন করে আইএমএফ কৃষক সংগঠন। এরপর ২০১৬ সালের ২০ মাচর্ থেকে তাদের কাযর্ক্রম চলতে থাকে। কৃষিতে দিন বদলের স্বপ্নে বিভোর সংগঠনের সদস্যরা নিয়মিত তাদের সঞ্চয় জমা দিয়ে তাদের তহবিল গঠন করে এবং একপযাের্য় লাখাই কৃষি অফিসের সহায়তায় তার ৪ সদস্যের একটি দল বিএফপি ট্রেনিং ও ৩ দিনব্যাপী এফও লিডার ট্রেনিং সমপন্ন করে কৃষি বিষয়ক অভিজ্ঞতা ও উন্নত চাষাবাদ সমন্মিত চাষ ও পন্যের বাজারজাত বিষয়ে সাম্যক জ্ঞান অজর্ন করে এবং ইতিমধ্যে সংগঠনের সদস্যগন ৮ সপ্তাহব্যাপী বাজার সংযোগ বিষয়ক কমর্শালা ও সুচারুভাবে সম্পন্ন করেছেন। তাছাড়া কৃষি অফিসের সহায়তায় উপজেলা প্রানী সম্পদ বিভাগের মাধ্যেমে হাঁস-মুরগী ও গবাদি পশু লালন বিষয়ে প্রশিক্ষন গ্রহন করেন। আইএফএমসি প্রকল্পের অধীনে ও কৃষি বিভাগের বাস্তবায়নে সংগঠনের সদস্যগন কৃষি পন্য উৎপাদন, পন্যের ন্যায্যমুল্য প্রাপ্তি, সমন্মিত বালাই দমন, বাজার সংযোগ বিষয়ে সক্ষমতা অজর্ন করে নিজের চাষাবাদে আরো উদ্দেমী হয়ে উঠছেন। ফলে ক্রমান্নয়ে তাদের সঞ্চয় ও পুজি বেড়ে চলছে। সদস্যদের দুঃখের দিন লাগব হয়ে তাদের মধ্যে ফিরেছে সুখের প্রানচাঞ্চল্য। এব্যাপারে সংগঠনের সদস্য হাফিজা খাতুন বলেন, এক সময় আমাদের কোন অথৈর্নতিক সম্পৃক্ততা ছিলনা। কৃষক সংগঠনের সদস্য হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন শষ্য উৎপাদন, ডিম উৎপাদন করে ব্যবসা করে যাচ্ছি। এছাড়াও হঁাস-মুরগীর চিকিৎসা সমন্ধে জানার ফলে হঁাস মুরগী পালন বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে সংগঠনের সেক্রেটারি রিমা আক্তার বলেন, সংগঠনের মাধ্যেমে আমরা উপকৃত হচ্ছি বিশেষ করে মহিলা সদস্যরা বাজারজাত ও কালেকশন পয়েন্টে মালামাল জমা করে বাজারজাত করার ব্যাবস্থা থাকায় আমাদের উৎপাদিত পন্য বাজারজাত সহজতর হয়েছে। এবিষয়ে সংগঠনের সভাপতি বাহার উদ্দিন বলেন, এ সংগঠনের মাধ্যেমে আমরা স্বাবল্মী হতে পেরেছি। অন্যদেরকেও অনুপ্রানিত করতে পেরেছি।