তিন জেলায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৫

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
কক্সবাজারে বন্দুকযুদ্ধের পর ট্রাক থেকে উদ্ধারকৃত ইয়াবা ও অস্ত্র Ñযাযাদি
ঢাকা, কক্সবাজার ও পাবনায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে পঁাচজন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার রায়ের বাজার এলাকায় নিহত দুজনকে ‘ডাকাত’ বলছে র‌্যাব। আর কক্সবাজারের উখিয়ায় নিহত দুজন মাদক চোরাকারবারে জড়িত ছিল বলে র‌্যাব কমর্কতাের্দর ভাষ্য। আর পাবনার পুলিশ বলছে, আটঘরিয়া উপজেলায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে হত্যা-ডাকাতির আসামি এক ‘চরমপন্থি নেতা’ নিহত হয়েছে। ঢাকা : র‌্যাব সদরদপ্তরের সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার ভোরে রায়ের বাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের পেছনে র‌্যাব-২ এর টহল দলের সঙ্গে ‘ডাকাত দলের’ গোলাগুলিতে অজ্ঞাতপরিচয় দুজন নিহত হয়। ডাকাত দলের সদস্যরা বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের পেছনে অবস্থান করছিল। র‌্যাবের টহলদল সেখানে গেলে তারা গুলি ছোড়ে। র‌্যাব তখন পাল্টা গুলি চালালে দুজন আহত হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন বলে র‌্যাব কমর্কতার্ মিজানুর জানান। তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে তিনটি পিস্তল, গুলি, ছুরি, চাপাতি ও ডাকাতিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফঁাড়ির এসআই মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী দুজনকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণ করেন। নিহত দুজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। কক্সবাজার : কক্সবাজারের উখিয়ায় র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আরও দুজন নিহত হয়েছেন। র‌্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. মেহেদী হাসান বলছেন, ভোর রাতে শহীদ এটিএম জাফর আলম আরাকান সড়কের মরিচ্যা বাজার এলাকায় গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারের কথাও র‌্যাব কমর্কতার্রা বলেছেন। নিহতরা হলেন চট্টগ্রামের সীতাকুÐ এলাকার আব্দুস সামাদ (২৭) এবং যশোরের অভয়নগর এলাকার মো. আবু হানিফ (৩০)। তারা দুজনই ‘চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী’ এবং তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনের একাধিক মামলা রয়েছে বলে মেজর মেহেদী হাসানের ভাষ্য। তিনি বলেন, মরিচ্যা বাজার এলাকায় র‌্যাবের অস্থায়ী চেকপোস্টে গাড়ি তল্লাশি করা হচ্ছিল। এ সময় টেকনাফের দিক থেকে আসা একটি ট্রাক চেকপোস্টে না থেমে র‌্যাব সদস্যদের দিকে গুলি করে পালানোর চেষ্টা করে। ‘র‌্যাব সদস্যরাও তখন আত্মরক্ষার জন্য পাল্টা গুলি চালায়। তাতে ট্রাকে থাকা দুই ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।’ পরে ওই ট্রাকে তল্লাশি করে এক লাখ ৩০ হাজার ইয়াবা, একটি বিদেশি পিস্তল, একটি দেশে তৈরি বন্দুক, আট রাউন্ড গুলি পাওয়া যায় বলে মেজর মেহেদী জানান। তিনি বলেন, নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মগের্ পাঠানো হয়েছে। পাবনা : পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে হত্যা ও ডাকাতি মামলার এক আসামি নিহত হয়েছে। উপজেলার ল²ীপুর ইউনিয়নের কৈজুরী গ্রামে মঙ্গলবার ভোরে গোলাগুলির ওই ঘটনা ঘটে বলে আতাইকুলা থানার ওসি মাসুদ রানার ভাষ্য। নিহত কুরবান আলী (৩০) ওই উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের কিয়াম উদ্দিন ওরফে আদুর ছেলে। পুলিশের বলছে, কুরবান চরমপন্থি সংগঠন নকশাল বাহিনীর আঞ্চলিক নেতা। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে আটঘরিয়া ও আতাইকুলা থানায় মামলা রয়েছে। ওসি মাসুদ রানা বলেন, কৈজুরী গ্রামের শ্মশানের পাশে একদল সন্ত্রাসী গোপন বৈঠক করছে খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। ‘এ সময় সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ করে গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি করে। এক পযাের্য় সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থলে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।’ তাকে উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক কুরবানকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ওসি মাসুদ রানা। তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি রিভলবার, চার রাউন্ড গুলি, ২০টি ইয়াবা এবং একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ অভিযানে চার পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন এবং তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয় বলে ওসির ভাষ্য।