রোহিঙ্গাদের জন্য ৪৩০০ একর বন-পাহাড় কাটা পড়েছে

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
উখিয়া ও টেকনাফে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য চার হাজার ৩০০ একর বন ও পাহাড় কাটা পড়েছে। সে কারণে সেখানকার পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য এখন হুমকির মুখে। মঙ্গলবার জাতিসংঘ উন্নয়ন কমর্সূচির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। রাজধানীর হোটেল সোনারগঁাওয়ে ‘রোহিঙ্গা ঢলে বাংলাদেশের পরিবেশের ওপর প্রভাব’ শীষর্ক ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাতিসংঘ উন্নয়ন কমর্সূচি। প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবতর্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। জাতিসংঘ উন্নয়ন কমর্সূচির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। উখিয়া ও টেকনাফে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়, ব্যবস্থাপনা ও রান্নার জ্বালানির জন্য চার হাজার ৩০০ একর বন ও পাহাড় কাটা পড়েছে। ফলে সেখানকার জীববৈচিত্র্য, প্রতিবেশ ও পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, রোহিঙ্গারা প্রতি মাসে ছয় হাজার ৮০০ টন জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করছে। প্রতিটি রোহিঙ্গা পরিবারের জন্য অস্থায়ী একটি আশ্রয় ঘর নিমাের্ণর জন্য গড়ে ৬০টি বঁাশের প্রয়োজন হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে এ দেশে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। তবে তাদের আশ্রয়ের জন্য পরিবেশ বিপযের্য়র মধ্যে পড়েছে। এই ক্ষতি সহজেই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। সেখানকার পানির স্তরও নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে। তবে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান খুব শিগগিরই হবে বলে মনে হয় না। এই সংকট সমাধানে সময় লাগবে। সে কারণে সরকার রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে পুনবার্সনের উদ্যোগ নিয়েছে। অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবতর্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী, জাতিসংঘ উন্নয়ন কমর্সূচির বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখাজীর্, প্রধান বন সংরক্ষক মোহাম্মদ শফিউল, আলম চৌধুরী, দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মহসিন, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সুলতান আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।