নিবার্চন কমিশন ঘেরাওয়ের ঘোষণা বাম জোটের

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
তফসিল ঘোষণার আগে সংসদ ভেঙে দিয়ে ‘নিরপেক্ষ তদারকি সরকার’ গঠনের মাধ্যমে নিবার্চন অনুষ্ঠানসহ ১০ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার নিবার্চন কমিশন ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। মঙ্গলবার রাজধানীর পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কমর্সূচি ঘোষণা করেন দেশের বাম দলগুলোর জোটের সমন্বয়ক সাইফুল হক। বিপ্লবী ওয়াকার্সর্ পাটির্র এই সাধারণ সম্পাদক জানান, ওইদিন সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে মিছিল নিয়ে আগারগঁাওয়ে নিবার্চন কমিশন ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্যে রওনা করবেন তারা। একইদিন জেলা পযাের্য় সকালে জেলা নিবার্চন কাযার্লয়ের সামনে বিক্ষোভের কমর্সূচিও ঘোষণা করেন সাইফুল হক। ইভিএম চালু ও ডিজিটাল ভোট ডাকাতির পঁায়তারা বন্ধ করা, প্রাথীর্র জামানত ৫ হাজার টাকা ও নিবার্চনী ব্যয় ৩ লাখ টাকা নিধার্রণ করে কঠোরভাবে তা মেনে চলতে বাধ্য করা, অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার বিধান চালু করা, ভোটার ইচ্ছায় জনপ্রতিনিধি প্রত্যাহার করা এবং ‘না’ ভোটের বিধান চালু করা এবং স্বতন্ত্র প্রাথীর্র ক্ষেত্রে ১ শতাংশ ভোটারের সমথর্নসূচক সইয়ের বিধান বাতিল করা প্রভৃতি রয়েছে বাম জোটের অন্য দাবির মধ্যে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ থেকে আসা সুপারিশের ভিত্তিতে নিবার্চনী ব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কারের উদ্যোগ নিবার্চন কমিশন নেয়নি বলে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন বাম জোটের সমন্বয়ক সাইফুল হক। ‘সমস্ত কিছু বাদ দিয়ে, এমনকি একজন নিবার্চন কমিশনারের প্রতিবাদের মুখেও নিবার্চনে বিতকির্ত ও স্বচ্ছতাহীন ইভিএম ব্যবস্থা যুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’ নিবার্চনে ডিজিটাল কারচুপির মাধ্যমে সরকারি দলকে বাড়তি সুবিধা দিতে ইভিএম ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বরিশালসহ কয়েকটি সিটি করপোরেশনের বিগত নিবার্চনের উদাহরণ টেনে সাইফুল হক বলেন, ভোট জালিয়াতি, প্রশাসনিক কারসাজি, মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ, সচতুর কায়দায় কেন্দ্র দখল, সন্ত্রাস, মাস্তানি, হয়রানি, ভীতি প্রদশর্ন ও সীমাহীন অথর্ব্যয়ের মধ্য দিয়ে সমগ্র নিবার্চনকে অথর্হীন ও অকাযর্কর করে তোলা হয়েছে। নিয়ন্ত্রিত নিবার্চনের এক অভিনব মডেলও চালু করা হয়েছে।’ সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে সিপিবি সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পাটির্র সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ (খালেকুজ্জামান) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা ফিরোজ আহমেদ, বাসদের (মাক্সর্বাদী) কেন্দ্রীয় নেতা ফখরুদ্দিন কবির আতিক উপস্থিত ছিলেন। আটটি বামপন্থি রাজনৈতিক দল মিলে গত ১৮ জুলাই ‘বাম গণতান্ত্রিক জোট’ যাত্রা শুরু করে।