আ.লীগ আমাদের বন্ধু নয়: এরশাদ

প্রকাশ | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০ | আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:৪১

যাযাদি রিপোটর্
আওয়ামী লীগ তঁার দলের বন্ধু নয় বলে মন্তব্য করেছেন সরকারের সঙ্গে থাকা জাতীয় পাটির্র (জাপা) চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। তিনি ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসার প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে বুধবার বিকেলে রাজধানীতে দলের এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এরশাদ বলেন, ‘আমি যখন জেলখানায়, নিবার্চন হলো। বিএনপি পেল ১১৬টি আসন, আমরা পেলাম ৩৩টি, জামায়াতে ইসলামীর ছিল ৩টি আসন। আমি সমথর্ন দিলে বিএনপি আবার ক্ষমতায় আসতে পারে। আমার কাছে মধ্যরাতে বাতার্ পাঠানো হলো, আপনি আমাদের সমথর্ন করেন, যা–ই চাইবেন, তা দেব। আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনবেন না।’ বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে এরশাদ বলেন, ‘তাদের অনুরোধ আমি রাখিনি। আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনেছি আমি, কিন্তু সুবিচার পাইনি। ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ আমাকে আবার জেলে পাঠিয়েছে। পঁাচ কোটি টাকা জরিমানা করেছিল। তাই বলছি, আমাদের বন্ধু জনগণ। আমাদের বন্ধু এরা নয়।’ জাপার চেয়ারম্যান দলের নেতা-কমীের্দর উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের বন্ধু জনগণ, কৃষক-শ্রমিক ও মজদুর। নব্য ধনীদের কথা ভুলে যাও। যারা কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে, তাদের কথা ভুলে যাও। যারা ব্যাংক লুট করেছে, মানুষ খুন করেছে, তাদের কথা ভুলে যাও। অনেক ব্যথা বুকে। আমি শৃঙ্খলিত রাজনীতিবিদ। এখনো মুক্ত নই। এখন মনে হয় আগামী নিবার্চনের মাধ্যমে শৃঙ্খল ভেঙে আমি মুক্ত মানুষ হব।’ এরশাদ নেতা-কমীের্দর উদ্দেশে আরও বলেন, ‘আমি সাহস হারাইনি, ধৈযর্ হারাইনি। এখন বিশ্বাস করি, আমাদের সামনে ক্ষমতায় যাওয়ার সুবণর্ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।’ এরশাদ বুধবার রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সিটিতে দলের নেতা-কমীের্দর নিবার্চনে প্রযুক্তিনিভর্র প্রচারণার এক প্রশিক্ষণ কমর্শালার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ কথাগুলো বলেন। নিবার্চনে এবার জাপা তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করতে প্রযুক্তিনিভর্র প্রচারণা চালাবে। এ লক্ষ্যে জাতীয় পাটির্র নিবার্চনী কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন সেল করা হয়েছে। এই সেলের প্রধান এরশাদের তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা শফিউল্লাহ আল মুনির। কমর্শালায় ‘পল্লী বন্ধুর হাত ধরে আরেকবার’ শিরোনামে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদশর্ন করা হয়। এরশাদ বলেন, ‘আগামী নিবার্চনে তথ্যপ্রযুক্তিনিভর্র প্রচারণায় আমরা সাধারণ মানুষের কাছে যাব, নতুন ভোটারদের আকৃষ্ট করব।’ অনুষ্ঠানে জাতীয় পাটির্র কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, সাবেক মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলুসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন। তবে দলের জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না।### আলো