তিতাসের এমডিসহ ৮ কমর্কতাের্ক দুদকে তলব

প্রকাশ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মীর মশিউর রহমানসহ শীষর্ পযাের্য়র আট কমর্কতাের্ক দুনীির্তর অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুনীির্ত দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের তলব করে চিঠি পাঠানো হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচাযর্ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এসব কমর্কতার্র বিরুদ্ধে মিটার টেম্পারিং ও মিটার বাইপাস করে গ্যাসসংযোগ দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎসহ অবৈধ সম্পদ অজের্নর অভিযোগ রয়েছে। তিতাসের এমডি মীর মশিউর রহমান, উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) এস এম আবদুল ওয়াদুদ ও ব্যবস্থাপক ছাব্বের আহমেদ চোধুরীকে ১ অক্টোবর দুদকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। ২ অক্টোবর তলব করা হয়েছে তিতাসের নারায়ণগঞ্জ শাখার মহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান, টিঅ্যান্ডটি শাখার (গাজীপুর) ব্যবস্থাপক আবু বকর সিদ্দিকুর রহমান, ব্যবস্থাপক মো. আখেরুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ারিং সাভিের্সস শাখার ব্যবস্থাপক শাহজাদা ফরাজী ও সহকারী কমর্কতার্ আবু ছিদ্দিক তায়ানী। দুদক সূত্র জানায়, অনুসন্ধান কমর্কতার্ ও দুদকের উপপরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীর সই করা চিঠি পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে ওইসব কমর্কতাের্ক নিদির্ষ্ট তারিখে দুদকে হাজির করার ব্যবস্থা নিতে চেয়ারম্যানকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার একটি দৈনিকে তিতাসে ‘কেজি মেপে’ ঘুষ লেনদেন শীষর্ক একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে দেখা যায়, তিতাসের গাজীপুর, সাভার, ভালুকা ও নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলে ঘুষ খাওয়ার জন্য তিতাসের কমর্কতার্রা একে অপরের সঙ্গে সাংকেতিক শব্দ ব্যবহার করেছেন। নিজেরা ঘুষ খাওয়ার পাশাপাশি গ্রাহকদের কাছ থেকে ঘুষ এনে দিতে মাঝখানে একটি দালাল শ্রেণিও তৈরি করেছেন তারা। দালালরা ঘুষের টাকা সরাসরি পৌঁছে দিয়েছেন তিতাসের বড় কমর্কতাের্দর কাছে। দুদক সূত্র জানায়, এই ধরনের একটি অভিযোগ নিয়ে দুদক ২০১৭ সালের ৬ এপ্রিল থেকে একটি অনুসন্ধান শুরু করে। সেই অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তিতাসের এসব কমর্কতাের্ক তলব করা হয়েছে।