এস কে সিনহার বইয়ে সব ষড়যন্ত্র পরিষ্কার: রিজভী

প্রকাশ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কাযার্লয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন Ñযাযাদি
সুপরিকল্পিতভাবে দেশ ধ্বংস করার সব ষড়যন্ত্র সরকার সম্পন্ন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা তার ‘এ ব্রোকেন ড্রিম’ বইয়ে সব পরিষ্কার বলেছেন- দেশের গোয়েন্দা সংস্থার হুমকি ও ভীতি প্রদশের্নর মুখে তিনি দেশ ছেড়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কাযার্লয়ে সংবাদ সম্মেলন করে রিজভী এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবুল খায়ের ভূইয়া, তৈমুর আলম খন্দকার, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, মুনীর হোসেন প্রমুখ। রিজভী বলেন, ‘সুপরিকল্পিতভাবে দেশ ধ্বংস করার সব ষড়যন্ত্র সম্পন্ন করেছে সরকার। বন্দুকের নলের মুখে দেশত্যাগ ও পদত্যাগে বাধ্য হওয়া প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা তার বইতে উল্লেখ করেছেন, কীভাবে তাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে, কীভাবে তাকে পদত্যাগে বাধ্য করে বিচার বিভাগকে সরকার নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। তিনি তার আত্মজীবনী বইয়ে পরিষ্কার উল্লেখ করেছেন- তিনি সরকারের চাপে ও হুমকির মুখে দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। বিচারপতি সিনহা তার ‘এ ব্রোকেন ড্রিম’ বইয়ে পরিষ্কার বলেছেন- বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার হুমকি ও ভীতি প্রদর্শনের মুখে তিনি দেশ ছেড়েছেন এবং তার পরিবারকে জিম্মি করে বিদেশে থাকাকালীন অবস্থায় তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। বিবিসিসহ দেশের কিছু গণমাধ্যমে আজকে তা প্রকাশ পেয়েছে।’ আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিল সংসদে পাস হওয়ার বিষয়ে রিজভী বলেন, ‘সরকারের লাখ লাখ কোটি টাকার দুনীির্ত ধামাচাপা দিতেই এই কালো আইন করা হয়েছে। গণমাধ্যমে অথবা যেকোনো মাধ্যমেই যেন দুনীির্তর কোনো খবর প্রকাশ না হয়, অথবা প্রকাশ করতে না পারেন, সেজন্যই এই ন্যক্কারজনক কালো আইন তৈরি করা হলো।’ ‘এই কালো আইনে মানুষের সকল বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। দুনীির্ত ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো অপরাধের বিস্তার লাভ করার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। এটি সংবিধানবিরোধী একটি আইন। কারণ এ আইনে সংবিধানের মূল চেতনা বিশেষ করে মুক্তচিন্তা, বাগ্স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতাসহ মৌলিক অধিকার ক্ষুণœ করা হয়েছে।’ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কারণে দেশের মানুষের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে দাবি করে রিজভী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখন বিনা ওয়ারেন্টে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের অফিসে ঢুকে তল্লাশির নামে তাÐব চালাতে পারবে, কম্পিউটারসহ সবকিছু সিজ করতে পারবে, যে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারবে। সাধারণ মানুষও এই কালো আইনের থাবা থেকে রেহাই পাবে না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নামক এই কালো আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২ ও ৪৩ ধারা সংবিধান পরিপন্থি। এই আইন বাকশালেরই প্রেতাত্মা।’ আইনটিকে ‘কালা-কানুন’ আখ্যা দিয়ে এর বিরুদ্ধে দেশবাসীসহ সব গণমাধ্যমের কমীর্, মুক্তচিন্তার মানুষদের রুখে দঁাড়ানোর আহŸান জানান বিএনপির এ সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব।