চলতি মৌসুমে আলু আবাদ

টঙ্গিবাড়ীতে ন্যায্যমূল্য নিয়ে শঙ্কায় কৃষক

প্রকাশ | ১৫ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
আলু
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় আলু ক্ষেতের বাড়তি পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। আলুর ভালো ফলনের আশায়, জমির আগাছা পরিষ্কার, সেচ ও গাছে ওষুধ স্প্রেসহ নানা ধরনের কাজে ব্যস্ত তারা। এ বছর রোপণ মৌসুমে বৈরী আবহাওয়া এবং ঘন কুয়াশার কারণে জমির মাটি ভেজা থাকায় আলু চাষে বিলম্ভ হয়। আর রোপণে বিলম্ভ হওয়ার কারণে আলু উৎপাদন কম হবে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। জানা গেছে, স্থানীয় চাষিরা চলতি মৌসুমে আলুর ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে। বিগত বছরগুলোতে ন্যায্যমূল্য না পেয়ে অনেক আলুচাষি সর্বস্বান্ত হয়েছে। গত বছর দাম বেশি থাকলেও ন্যায্যমূল্য পায়নি প্রান্তিক আলুচাষিরা বরং লাভবান হয়েছে আড়তদার ও ব্যবসায়ীরা। সরেজমিনে টঙ্গিবাড়ী উপজেলার মান্দ্রা, গনাইসার, রাউৎভোগ, চাঠাতিপাড়া, পাঁচগাও, খোলাগাঁও, কাইচমালধা, ধীপুর এলাকায় দেখা যায়, কিছু কিছু জমিতে পরিপূর্ণ গাছ উঠে সবুজ বর্ণ ধারণ করেছে। বেশিরভাগ জমিতে সবেমাত্র ছোট ছোট গাছ গজিয়েছে। মান্দ্রা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, জমিতে পানি সেচ দেওয়া হচ্ছে। ওই এলাকার হাজি আব্দুল বারেক শেখ জানান, আলু রোপণ বিলম্ভ হওয়ায় গাছ ছোট রয়েছে। ভালো ফলন পেতে রোগ-বালাই যাতে আক্রমণ করতে না পারে, সে জন্যে পানি সেচ ও ঔষুধ স্প্রে করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, রংপুর ও ময়মনসিংহ জেলার নারী শ্রমিকরা আলুগাছ পরিচর্যায় বেশ পারদর্শী। স্থানীয়দের থেকে তাদের দৈনিক মজুরিও কম। তাই অনেক চাষিই তাদের দিয়ে দিনমজুর হিসেবে কাজ করান। পাঁচগাও গ্রামের আলুচাষি মিলস্নাত মিয়া ও রাউৎভোগ গ্রামের জামির হোসেন জানান, তারা এ পর্যন্ত উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কোনো ধরনের সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ পাননি, তাদের পূর্বপুরুষরা যেভাবে আলু আবাদ করেছেন, তারাও সেভাবেই করছেন। টঙ্গিবাড়ী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সবুজ চৌধুরী জানান, এ বছর টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় ৯ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কিছুটা বিলম্ভে এ বছর চাষাবাদ শুরু হয়েছে। আবহওয়া অনুকূল থাকলে ফলন ভালো হবে বলে আশা করছেন তিনি।